আগামী ১ এপ্রিল থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন করলেই শেয়ার পাবেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শেয়ার পেতে হলে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে বলেও বিএসইসির বৃহস্পতিবারের কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বিদ্যমান লটারি ব্যবস্থার পরিবর্তন করে শেয়ার আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেয়া হবে। আইপিওতে আবেদনের জন্য বাজার মূল্যে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। আইপিও আবেদনের ন্যূনতম চাঁদার পরিমাণ হবে ১০ হাজার টাকা বা তার গুণিতক, যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে চাওয়া কোম্পানিগুলোর আবেদন প্রক্রিয়ায় সংশোধনী আনা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইপিও অনুমোদনের জন্য বিদ্যমান দ্বৈত সম্মতি পত্রের পরিবর্তে বিডিং ও প্রসপেক্টাস প্রকাশের সম্মতিপত্র একসঙ্গে প্রদান করা হবে।
শেয়ার সমবণ্টন পদ্ধতি নির্ধারণে বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়।
কমিটির প্রধান করা হয় বিএসইসির পরিচালক মনসুর রহমানকে। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দুই জন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) দুই জন এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) দুই জন প্রতিনিধি।
এ পদ্ধতি চালু হলে একটি কোম্পানির আইপিওতে যত জন আবেদন করবেন তাদের সবার মাঝে সমানভাবে শেয়ার বণ্টন করা হবে। ধরা যাক, ‘এবিসি লিমিটেড’ এক কোটি সাধারণ শেয়ার ছাড়বে। কিন্তু আবেদন করেছেন এক লাখ বিনিয়োগকারী। তাহলে সবাই ১০০টি করে শেয়ার পাবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীর জমা করা টাকা কম বেশি হলে, তা ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে সমন্বয় করা হবে।