ভারতের বীরভূম থেকে আরও ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ দর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এ নিয়ে চলতি মাসে ৫০ হাজার করে মোট দেড় লাখ টন চাল আমদানির তিনটি আলাদা প্রস্তাব অনুমোদন দিল ক্রয় কমিটি।
এর আগে ২ ডিসেম্বর বীরভূম থেকে ৫০ হাজার টন এবং ৯ ডিসেম্বর মুম্বাই থেকে ৫০ হাজার টন একই ধরনের চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়।
অতিরিক্তি সচিব আবু সালেহ সাংবাদিকদের জানান, বুধবার ক্রয় কমিটির বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া ৫০ হাজার টন চাল আনতে মোট ব্যয় হবে ১৬৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৩৯৭ দশমিক ৭১ মার্কিন ডলার। এ হিসাবে গড়ে দাম পড়বে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা।
ভারতের এমএসটিকে এগ্রিলিংক প্রাইভেট লিমিটেড এ চাল সরবরাহ করবে বলে জানান তিনি।
আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। নানা উদ্যোগ নিয়েও কিছুতেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার।
এমন প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে শুল্ক হার ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে বেসরকারি পর্যায়ে সীমিত আকারে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সরকার আশা করছে, এর ফলে বাজারে চালের সরবরাহ আরও বাড়বে এবং দাম সহনীয় হবে।
দেশের বাজারে চিকন চালের দাম এখন প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) ৩২০০ টাকা থেকে ৩৪০০ টাকার মধ্যে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
খুচরায় প্রতি কেজি সরু চালের দাম পড়ছে ৬৪ টাকা থেকে ৬৬ টাকা। সরু চালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাঝারি ও মোটা চালের দামও বাড়ছে।