করোনাভাইরাস মহামারিতে আয় কমে যাওয়ায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে তিন শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
সোমবার ডিজিটাল প্লাটফর্মে ৫৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান।
ডিএসই জানিয়েছে, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রথমবার ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তী দুই অর্থবছরে একই হারে লভ্যাংশ দেয়া হয়। আয় কমে যাওয়ায় এর পরের দুই বছরে এটি পাঁচ শতাংশে নেমে আসে। সবশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাত্র তিন শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হলো।
চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ডিএসইর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩০ টাকা।
সভায় ডিএসই সভাপতি ইউনুসুর রহমান বলেন, করোনার কারণে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় ব্যবসা করা সম্ভব হয়নি। কিছু টাকা ব্যাংকে এফডিআরে (মেয়াদি আমানত) বিনিয়োগ রয়েছে। এফডিআরেও সুদ হার কমে যাওয়ায় মুনাফা কমেছে। অথচ ব্যয় কমেনি। ফলে আগের বছরের তুলনায় লভ্যাংশ কমেছে।
অনেক উত্থান-পতনের পর পুঁজিবাজার এখন আস্থা ও গতিশীল বাজারে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের বর্তমান অর্থনীতির চিত্র ও পরিবেশ বিনিয়োগবান্ধব দাবি করে ডিএসই সভাপতি জানান, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে অদূর ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বাড়বে।
এজিএমে ডিএসইর পরিচালক হিসেবে সিদ্দিকুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।
পরিচালক পদে ২৪ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। একটি মাত্র মনোনয়নপত্র জমা পড়ায় নির্বাচন কমিশন সদস্য হারুনুর রশিদ পরিচালক হিসেবে সিদ্দিকুর রহমানকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন৷
এজিএমে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক, পরিচালক রকিবুর রহমান ও বিভিন্ন ব্রোকার হাউজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।