বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনাকালে রাজস্ব আদায়ে গতি ফিরল

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:৫৭

অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, পতনমুখী প্রবণতা থেকে রাজস্ব খাত ইতিবাচক ধারায় ফেরাই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সরকার। কেননা রাজস্ব আদায় ভালো হলে, বাজেট বাস্তবায়নে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা যায়।

করোনার মাঝেও বাড়ছে রাজস্ব আদায়ে গতি। গত অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বরে পরিস্থিতি আরও উন্নতি হয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, পতনমুখী প্রবণতা থেকে রাজস্ব খাত ইতিবাচক ধারায় ফেরাই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সরকার। কেননা রাজস্ব আদায় ভালো হলে, বাজেট বাস্তবায়নে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা যায়।

বুধবার প্রকাশিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর মোট আদায় হয়েছে ৮৭ হাজার ৯২ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরে একই সময় আদায় হয়েছিল ৮৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে পাঁচ মাসে আদায় বেড়েছে তিন শতাংশের বেশি, যা অক্টোবরে ছিল দুই শতাংশের কাছাকাছি।

এনবিআরের কর্মকর্তরা বলেছেন, আমদানি–রপ্তানি কর্মকাণ্ড গতিশীল হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদাও বাড়ছে। এসবের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আহরণে।

তবে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও আলোচ্য অর্থবছরের পাঁচ মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক পিছিয়ে এনবিআর।

এই সময়ে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় ৮৭ হাজার ৯২ কোটি টাকা। ফলে পাঁচ মাসে ঘাটতি ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিআরআই-এর নিবার্হী পরিচালক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাবেক কর্মকর্তা অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাজস্ব আয় বাড়ছে, এটা সরকারের জন্য অবশ্যই ভালো খবর। তবে করোনাকালে এবার সরকার যে বিশাল বাজেট করেছে,অর্থায়ন নিশ্চিত করতে এই আদায় যথেষ্ট নয়।’

গতানুগতিক ধারায় আদায় বাড়ানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কাঙ্ক্ষিত আহরণ বাড়াতে বড় ধরনের সংস্কারে যেতে হবে এনবিআরকে।

অবশ্য অর্থনীতিবিদদের অনেকে মনে করেন, বিশাল ঘাটতিতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কেননা, করোনার বছরে প্রত্যাশিত রাজস্ব আসবে না, এটাই স্বাভাবিক।

তাছাড়া এবারের বাজেটে প্রাক্কলিত লক্ষ্যমাত্রা একেবারেই অবাস্তব,যা কখনই অর্জিত হবে না বলে মনে করেন তারা।

চলতি অর্থবছরে এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

বাজেট অর্থায়নে ৮৫ শতাংশ সম্পদের জোগান দেয় এনবিআর। আমদানি, মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর- এই তিন উৎস থেকে রাজস্ব আহরণ করে থাকে সরকারি আয় সংস্থানের গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থাটি।

চলতি বছরের মার্চে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর লক ডাউন ঘোষণায় দেশে অর্থনীতি কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এর প্রভাবে রাজস্ব আহরণ তলানিতে পৌঁছায় ।

করোনার প্রভাবে গত অর্থবছর রাজস্ব আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। স্বাধীনতা–পরবর্তী এমন খারাপ অবস্থা আর কখনই দেখা যায়নি।

গত সেপ্টম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতি খারাপ থাকলেও, এরপর থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সরকারি অর্থায়নের অন্যতম চালিকাশক্তি রাজস্ব খাত।

এনবিআরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আমদানি শুল্ক (কাস্টমস ডিউটি) আদায় ভালো অবস্থানে।

এই সময়ে আমদানি শুল্ক আদায় হয় ২৭ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা। এখাতে গত অর্থবছরের তুলনায় আয় বেড়েছে সাড়ে ছয় শতাংশ।

স্থানীয় ভ্যাট আহরণ আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত ভ্যাট আদায় হয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের অন্যতম উৎস আয়কর আদায় হয় ২৫ হাজার কোটি টাকা। এ খাতে প্রবৃদ্ধি চার শতাংশের বেশি। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে উন্নয়ন কাজের গতি বেড়েছে। এর প্রভাব আয় করে পড়েছে বলে জানান এনবিআরের কর্মকর্তারা।

সব মিলে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৮৭ হাজার ৯২ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ হয়।

এ বিভাগের আরো খবর