ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) গড় ঝুঁকির রেটিং পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন থেকে ঝুঁকিবাহিত সম্পদের ভিত্তিতে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ভালো, মোটামুটি বা মন্দ তা বোঝাতে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ এই তিন ধরনের রেটিং দিয়ে বোঝাবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আগে ঝুঁকির ভিত্তিতে এই তিন ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে সবুজ, হলুদ ও লাল অঞ্চলে ভাগ করা হতো।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পাঠানো হয়।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. জুলকার নায়েন নিউজবাংলাকে বলেন, খেলাপি ঋণ বা অন্যান্য ঝুঁকিবাহিত সম্পদ বেড়ে গেলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কী পরিণতি হতে পারে তা বোঝার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক স্ট্রেস বা অভিঘাত নির্ণয় করে।
এর ভিত্তিতে প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আলাদা রেটিংও করা হয়। আগে এই রেটিং রং দিয়ে প্রকাশ করা হতো। এখন থেকে ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই মহাব্যবস্থাপক আরও বলেন, ঝুঁকির পাশাপাশি ইনসলভেন্সি বা অক্ষমতা রেটিং করা হয়। সেখানেও রংয়ের ব্যবহার ছিল। এখন থেকে এই রেটিং সংখ্যা দিয়ে করা হবে। অর্থাৎ ১, ২ ও ৩ সংখ্যা দিয়ে করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ঝুঁকি ও অক্ষমতার যৌথ রেটিংয়ের ক্ষেত্রে যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘এ’১ ও ‘এ’২ রেটিং পাবে সেগুলো সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে বোঝাবে।
‘এ’৩, ‘বি’১ ও ‘বি’২ রেটিং পাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোটামুটিভাবে চলছে এবং ‘বি’৩, ‘সি’১, ‘সি’২ ও ‘সি’৩ রেটিং পাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বলভাবে চলছে বোঝাবে।