ঘন কুয়াশায় চট্টগ্রাম বন্দরে তিনটি জাহাজের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে।
শনিবার সকালে বহির্নোঙর থেকে পণ্য নিয়ে মূল জেটিতে আসার ক্ষেত্রে জাহাজগুলোর শিডিউল বিপর্যয় হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, জোয়ারের সময় নয়টি জাহাজ জেটিতে আসার অনুমতি ছিল। কিন্তু প্রথম তিনটি শিডিউল অনুযায়ী আসতে পারেনি। কুয়াশা কেটে গেলে জোয়ারের শেষ সময় চারটি জাহাজ জেটিতে আসে।
ফরিদুল আলম আরও জানান, গত কয়দিন ধরেই কুয়াশার কারণে শিডিউল রক্ষা করা যাচ্ছে না। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় প্রতি বছর শীত মৌসুমে এ ধরনের বিঘ্ন ঘটে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পাইলট ও বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজ আনা-নেয়া বন্ধ রাখে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী জানান, বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়ার শিডিউল তৈরি হয় জোয়ার ভাটার ওপর। শীতকালে কুয়াশার কারণে শিডিউল রক্ষা করা প্রায়ই সম্ভব হয় না। অনেক সময় জাহাজকে জেটিতে এক দিন বাড়তি থাকতে হয়।
বিদেশ থেকে পণ্য নিয়ে জাহাজ প্রথমে বহির্নোঙরে আসে। এরপর জেটি খালি থাকা সাপেক্ষে জোয়ারের সময় জাহাজগুলো মূল জেটিতে আনা হয়। এ সময় জাহাজ পরিচালনা করে বন্দরের নিজস্ব পাইলটরা।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের মোট আমদানি পণ্যের প্রায় ৮২ শতাংশ এবং রপ্তানি পণ্যের ৯১ শতাংশ আনা-নেয়া করা হয়। এই বন্দরে গড়ে প্রতিদিন আট হাজার একক কনটেইনার ওঠানো–নামানো হয়।