গত সপ্তাহে মৌল ভিত্তিক বা ভালো কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বেড়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরি কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন ছিল সার্বিক লেনদেনের ৭৯ দশমিক ০৫ শতাংশ।
সপ্তাহের কার্যদিবসের পাঁচ দিনে আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৭৭৯ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬২৯ কোটি টাকা।
গেল সপ্তাহে লেনদেনে সর্বোচ্চ অবস্থান ধরে রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি পুরো সপ্তাহে ১ কোটির বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯১ কোটি টাকায়।
‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড ১৭৭ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার বিক্রি করে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। এই তালিকায় পর্যায়ক্রমে রয়েছে নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ন্যাশনাল ফিড মিল, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি।
পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকা তিন সূচকই আগের সপ্তাহের তুলনায় গেল সপ্তাহে ছিল চাঙ্গা। বাছাই করা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ এর সূচক বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ২২ শতাংশ। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ১৭ শতাংশ।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত ডিএসইএস এর সূচক বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
গেল সপ্তাহের ক্যাটাগরিভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সার্বিক লেনদেনে ‘বি’ ক্যাটাগরি কোম্পানির অবদান ছিল ৬৩২ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ।
আগের সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির মোট লেনদেন হয়েছিল ৪০১ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ‘এন’ ক্যাটাগরির সার্বিক লেনদেনে অবদান ছিল ১৫২ কোটি টাকা বা তিন দশমিক ৯০ শতাংশ।
নিয়মিত এজিএম, লভ্যাংশ না দেয়া কোম্পানি নিয়ে গঠিত ‘জেড’ ক্যাটাগরির অবদান ছিল ৩১ কোটি টাকা, যা সার্বিক লেনদেনের দশমিক ৮২ শতাংশ।
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে গেল সপ্তাহে। এই হিসাবে গেল সপ্তাহে ৩৬৫টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৬টি কোম্পানির শেয়ারের, দাম কমেছে ৮৮টির এবং দাম স্থিতিশীল ছিল ৬৮টি কোম্পানির শেয়ারের।