খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করবে সরকার।
বুধবার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
ভারতীয় কোম্পানি এমএসটিকে এগ্রিলিংক পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম থেকে এই চাল সরবরাহ করবে। প্রতি কেজি চাল আমদানিতে খরচ হবে ৩৫ দশমিক ২৭ টাকা। এতে ব্যয় হবে ১৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরও গত এক বছরে খাদ্য মজুদ অর্ধেক কমে গেছে।
বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়া এবং মহামারির মধ্যে কয়েক দফা বন্যার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গত বছরের ১ জুলাই সরকারের হাতে খাদ্য মজুদ ছিল প্রায় ১৭ লাখ টন। বর্তমানে তা কমে ৫ লাখ ৭৭ হাজার টনে নেমে এসেছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দেশে যাতে চালের কোনো ধরনের সংকট না দেখা দেয়, সে জন্য পর্যাপ্ত মজুদ বাড়াতে চায় সরকার। এ জন্য অভ্যন্তরীণভাবে চাল কেনার পাশাপাশি চলতি বছরের মধ্যে ১ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন কেনার অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।
সরকারি গুদামে চাল দিতে কেজি প্রতি ৪ টাকা বেশি দাবি করেন চালকল মালিকরা। বাড়তি দাম না পেলে সরকারকে চাল দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তারা।
দাম না বাড়ানোর পক্ষে অনড় থাকে সরকার। এরপরই চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বছর খাদ্য মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৩৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।