বছরের প্রথম নয় মাসে ১১৬ কোটি টাকা মুনাফা করেছে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। এর মধ্যে তারা সর্বশেষ প্রান্তিকে মুনাফা করেছে ৩৮ কোটি ৯ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপারেটরটি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) হিসাব প্রকাশ করেছে।
অপারেটরটি বলছে, এ বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) তাদের রাজস্বের পরিমাণ ৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি।
তৃতীয় প্রান্তিকে রবির রাজস্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকের চেয়ে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
অপারেটরটি বলছে, প্রতিনিয়ত উদ্ভাবন ও অ্যানালিটিক্সের উপর জোর দেয়ায় তৃতীয় প্রান্তিকে রবির রাজস্ব বেড়েছে।
রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেয়ারবাজারে প্রবেশের আগ মুহূর্তে তৃতীয় প্রান্তিকে লক্ষণীয় রাজস্ব বৃদ্ধিসহ মুনাফা নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। অ্যানালিটিক্স-নির্ভর উদ্ভাবনীতে দৃষ্টি দেয়ার প্রতিফলন রয়েছে এই আর্থিক অগ্রগতিতে। এটি আমাদের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা।’
তবে উচ্চ কর হারের কারণে তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জানিয়ে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
গত ১৭ নভেম্বর দেশের সর্ববৃহৎ আইপিও নিয়ে শেয়ারবাজারে আসে রবি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরের হিসাবের ভিত্তিতে সম্প্রতি কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।
তৃতীয় প্রান্তিকে রবির সক্রিয় গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১ লাখ, যা দেশের মোট মোবাইল সংযোগের ৩০ শতাংশ। গ্রাহকদের মধ্যে ৩ কোটি ৪৭ লাখ রবির ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর, যা অপারেটরটির গ্রাহকের ৬৯ দশমিক ২ শতাংশ।
এক বিজ্ঞপ্তিতে রবি জানায়, গত প্রান্তিকের তুলনায় এই তৃতীয় প্রান্তিকে ভয়েস সেবায় রাজস্ব ১২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে, যা টাকার অঙ্কে ৯৭২ কোটি টাকা।
তবে গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে এ খাতে রাজস্ব ৮ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।
গত প্রান্তিকের তুলনায় ডেটা থেকে রাজস্ব বেড়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, যা টাকার অঙ্কে ৬৮৪ কোটি।
রবি বছরের প্রথম নয় মাসে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এই সময়ে অপারেটরটি উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে ১ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।