জামালপুর শহরে পরিত্যক্ত জলাধার, পুরাতন ও অন্যান্য ধর্মীয় অবকাঠামো সংস্কারে একটি প্রকল্প সংশোধন করেছে সরকার।
২২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়।
উল্লিখিতসহ ৭ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে একনেক সভায়। এর মধ্যে তিনটি প্রকল্প নতুন ও দুটি সংশোধিত।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণ প্রকল্পটির শুরুতে প্রাক্কলন করা হয় ১২৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বর্তমানে সংশোধন করে বাড়িয়ে করা হয় ২২৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ফলে আগের চেয়ে অতিরিক্ত খরচ বাড়ল প্রায় ১০৩ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, বাড়তি অর্থ দিয়ে জামালপুর শহরের কেন্দ্রস্থলে বিদ্যমান পরিত্যক্ত জলাধার এবং জলাধার সংলগ্ন পুরাতন ধর্মীয় ও অন্যান্য অবকাঠামো সংস্কার করা হবে। এ কাজ সম্পন্ন হলে নগরবাসীর জন্য উম্মুক্ত স্থান তৈরির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বিনোদন সুবিধা বাড়বে।
পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জামাল শহরের অবকাঠামো খাতে বিরাজমান সমস্যা অনেকটা দূর হবে। ফলে নগরবাসী উপকৃত হবেন।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলেন, ২০১৬ সালের মার্চে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সংশোধনীতে এর মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।
অনুমোদন পাওয়া সংশোধিত অন্য প্রকল্পটি হলো ‘গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’। এ প্রকল্পের আওতায় বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার অবকাঠামো সংস্কার করা হবে।
প্রথমে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৯৫০ কোটি টাকা। এখন সংশোধন করে বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক হাজার ২৫৫ কোটি টাকা।
২০১৭ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের জুনে। সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।
অনুমোদিত নতুন তিনটি প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যমুনা নদীর ভাঙন থেকে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলাধীন গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্প। এতে খরচ হবে ৭৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
‘ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন’ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে পাঁচ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এ ছাড়া, খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ হবে ৩৯৩ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।