বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামানতহীন ‍ঋণের গ্যারান্টি চালু থাকবে

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:২৮

‘যেসব ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোকসানের ভয়ে জামানতবিহীন ‍ঋণ দিতে আগ্রহ দেখাত না তারাও এখন আগ্রহ দেখাবে। ফলে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ বিতরণ বাড়বে। অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র শিল্পের অবদানও বাড়বে।’

কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রশিল্পে জামানতহীন ঋণে গ্যারান্টি সুবিধা স্থায়ীভাবে চালু রাখবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এই ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে।

ফলে প্রণোদনার ঋণ আদায় না হলেও এর একটি অংশ ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

তবে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন শেষেও গ্যারান্টি চালু রাখা যায় সে লক্ষ্যে ঋণ দেয়ার পদ্ধতি ও এর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিস্তারিত নিয়মাবলী ম্যানুয়াল আকারে জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামাস বিভাগ।

এতে সম্ভাবনাময় কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো জামানতের অভাবে ঋণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে না, এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেসব ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোকসানের ভয়ে জামানতবিহীন ‍ঋণ দিতে আগ্রহ দেখাত না তারাও এখন আগ্রহ দেখাবে। ফলে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ বিতরণ বাড়বে। অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র শিল্পের অবদানও বাড়বে।’

এর আগে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পখাতে ঋণ বাড়ানোসহ দেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরারের প্রাদুর্ভাবের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় জামানতহীন ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে গ্যারান্টি সুবিধা দিতে গত ২৭ জুলাই ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন নিয়মাবলী অনুযায়ী, ব্যবসার প্রয়োজনে স্থাবর সম্পদ কেনার জন্য মেয়াদি ঋণ ও চলতি মূলধন ঋণ উভয়ই এই গ্যারান্টি সুবিধার আওতায় আসবে। তবে বর্তমানে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কেবল চলতি মূলধন ঋণ এই স্কিমের সুবিধা পাচ্ছে।

ভবিষ্যতে এই স্কিমের আওতায় জামানতহীন ঋণ আদায় না হলে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে লোকসানের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়া হবে ।

তবে এ ধরনের গ্যারান্টি সুবিধা পেতে প্রতিটি ঋণ পোর্টফোলিওর বিপরীতে এক শতাংশ হারে গ্যারান্টি ফি দিতে হয়। এই ফি তারা ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে আদায় করতে পারে।

কোনো ধরনের অবৈধ ব্যবসা, অস্ত্র বিক্রি, জুয়া, মাদক, তামাক প্রকল্পে ঋণ দিলে সেই ঋণ এই গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় আসবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নারীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এই গ্যারান্টির আওতায় ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।

মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে প্রকল্পের ২০ শতাংশ অর্থ পুঁজি হিসেবে গ্রাহককে সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে প্রকল্পের বাকি ৮০ শতাংশ অর্থ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।

কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের হার যদি (৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক) ১০ শতাংশের বেশি থাকে তাহলে ওই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই গ্যারান্টি স্কিমের সুবিধা পাবে না। 

এ বিভাগের আরো খবর