খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা বেঁধে দেয়ার নির্দেশ মানছে না সুপারশপগুলোও। তারা ২০ টাকা বেশিতে বিক্রি করছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা করে।
কারণ হিসেবে সুপার শপগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, পাইকারি দর বেশি বলে এই দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বৃহষ্পতিবার স্বপ্ন, আগোরা, মিনাবাজারসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি নামীদামি সুপারশপের আলুর দাম ও সরকারের নির্দেশনার মধ্যে এমন বৈপরিত্ব দেখা গেছে।
আরও আসছে: আলু আছে, পাইকার ‘নাই’
আলুর দামে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির পর সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত ৭ অক্টোবর আলুর দাম বেঁধে দেয়। হিমাগারে ২৩ টাকা, পাইকারিতে ২৫ আর খুচরাতে ৩০ টাকার বেশি হলে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের চিঠিও দেয়া হয়। তবে চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে আরও এক সপ্তাহ পর, বুধবার।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে কোথাও ৩০ টাকা কেজি আলু পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে স্বপ্ন ডটকম থেকে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে ৪৬ টাকায় আলু বিক্রির তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: আলুর সর্বোচ্চ দাম ৩০ টাকা বেঁধে দিল সরকার
নির্ধারিত মূল্যের দেড়গুণ দামে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে এসিআই লজিস্টিকের সুপারশপ স্বপ্নের হেড অব বিজনেস খালিদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আলুগুলো পাইকারি পর্যায়ে ৪৬ টাকা থেকে ৪৭ টাকায় কেনা পড়েছে। এ নিয়ে আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে আমরা আলুর পাইকারি দামে কেনার রসিদ দেখিয়েছি। তারা আমাদেরকে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছে পাইকারি দামের সঙ্গে ন্যূনতম পরিবহন খরচ যোগ করে আলুর খুচরা দাম নির্ধারণ করতে।’
এ কারণে স্বপ্ন তাদের আউটলেটগুলোতে ৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছে বলে জানান খালিদ হোসেন। তবে অনলাইনে ছাড় দেয়া হয়েছে।
নিত্যপণ্য অনলাইনে বিক্রি করে এমন অন্য একটি ই-কমার্স সাইট, চালডাল ডটকম বৃহষ্পতিবার আলু ৪৯ টাকা থেকে ৫০ টাকা বিক্রি করে।
চালডাল ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম আলীম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আলু কিনি কারওয়ান বাজার থেকে। পাইকারি বাজারেও আমরা ৩০টাকায় আলু কিনতে পারছি না। তাহলে কী করে আলু ৩০ টাকায় বিক্রি করবো। এখন যদি আমরা আলু বিক্রি বন্ধ করে দেই তাহলে তো আমাদের ক্রেতা কমে যাবে।’