এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডেটিং অ্যাপের দুনিয়ায় যখন ভার্চ্যুয়াল সম্পর্কই হয়ে উঠছে তরুণদের ভরসা, তখন এ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী ও রাজনীতিক কঙ্গনা রনৌত। বিয়ে, লিভ ইন সম্পর্ক আর অনলাইন ডেটিং সংস্কৃতি নিয়ে খোলাখুলি মতামত দিয়েছেন তিনি। আর সেই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেন, ‘ডেটিং অ্যাপ আসলে সমাজের নর্দমা। সেখানে এমন মানুষই থাকে, যাদের জীবনে কোনো অর্জন নেই। যারা অফিসে, পরিবার বা আত্মীয়দের মাধ্যমে কারও সঙ্গে পরিচিত হতে পারেনি, তারাই শেষ পর্যন্ত ডেটিং অ্যাপের শরণাপন্ন হয়। ভাবুন তো, কেমন চরিত্র তাদের!’
ওই সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন আধুনিক সম্পর্কের ধরন নিয়ে। তার মতে, পুরুষেরা আবেগকে আলাদা করে সামলাতে পারেন। কিন্তু নারীরা তা পারেন না—শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন সত্ত্বেও। আর তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীরা ভিন্ন চাপের মুখে পড়েন।
বিয়ে প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যেখানে আনুগত্য ও দায়িত্ববোধ প্রকাশ পায়। তবে একই সঙ্গে তিনি টুগেদার সম্পর্ক ও ডেটিং সংস্কৃতিকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন।
ডেটিং অ্যাপ প্রসঙ্গে আরও যোগ করেন কঙ্গনা, ‘আমার মতো কাউকে আপনি এসব অ্যাপে পাবেন না। ওখানে কেবল হেরে যাওয়া মানুষদেরই পাওয়া যায়। এসব অ্যাপ মানুষের আত্মবিশ্বাস কেড়ে নেয়।’
সম্পর্কের আধুনিক ধরনকে ‘অশোভন’ আখ্যা দিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘প্রত্যেক নারী-পুরুষের প্রয়োজন আছে—শারীরিক, আর্থিক বা অন্য কিছু। প্রশ্ন হলো, আমরা কীভাবে তা মেটাব? তা কি রুচিসম্মতভাবে করব, নাকি আজকের মতো সস্তা পথে, যেখানে ডেটিং মানেই প্রতি রাতেই কারও সন্ধানে বের হওয়া। এটা ভয়াবহ পরিস্থিতি।’
লিভ টুগেদার সম্পর্ক নিয়ে কঙ্গনা আরও বলেন, ‘আমাদের সমাজে বিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি একধরনের প্রতিশ্রুতি, যেখানে স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করে। কিন্তু এখন যেভাবে লিভ টুগেদার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, আমার অভিজ্ঞতায় বলছি, এগুলো নারীবান্ধব নয়। কালকে যদি লিভ টুগেদারে থাকা অবস্থায় আপনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন, তখন আপনার দায়িত্ব কে নেবে?’ কঙ্গনার এই মন্তব্য ঘিরে এখন চলছে তুমুল বিতর্ক।