ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ী প্রার্থী কঙ্গনা রানাউতকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে এক নারী নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে।
কঙ্গনার অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
হিমাচল প্রদেশের মণ্ডি লোকসভা কেন্দ্রের সদ্য জয়ী কঙ্গনা চণ্ডীগড় থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন। ৩টার দিকে বিমানে ওঠার কথা ছিল তার। সেখানেই নিরাপত্তাজনিত কারণে তল্লাশির সময়ে ওই নিরাপত্তারক্ষী অভিনেত্রীকে চড় মারেন বলে অভিযোগ করেন কঙ্গনা।
সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) কনস্টেবল যিনি নতুন সাংসদকে চড় মেরেছিলেন তার নাম কুলবিন্দর কৌর।
কৌর জানান, কৃষকদের অসম্মান করার অভিযোগে তিনি কঙ্গনাকে চড় মারেন।
২০২১ সালে দিল্লির রাজপথে প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা পাঞ্জাবের কৃষক আন্দোলনের বিরোধিতা করে পর পর আক্রমণাত্মক টুইট করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। যার জেরে আইনি বিপাকেও পড়তে হয়েছিল তাকে। পাঞ্জাবে গিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। কঙ্গনার গাড়ি ঘেরাও করে সেই সময়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কৃষকরা।
সিআইএসএফ কনস্টেবলের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষকদের বিক্ষোভের সময় অভিনেত্রীর ‘১০০ রুপি’ নিয়ে করা একটি মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন কৌর।
কনস্টেবল বলেন, ‘তিনি একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন যে, কৃষকরা ওই আন্দোলনে ১০০ রুপির জন্য বসে আছে। তিনি কি সেখানে গিয়ে বসবেন? এ বিবৃতি দেয়ার সময় আমার মা সেখানে প্রতিবাদ করছিলেন।’
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক পপ তারকা রিহানা এক্সে (আগের টুইটার) কৃষকদের প্রতিবাদের বিষয়ে পোস্ট করে বলেছিলেন, ‘কেন আমরা এই বিষয়ে কথা বলছি না?’
এর উত্তরে মিসেস রানাউত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, ‘কেউ এটা নিয়ে কথা বলছে না কারণ তারা কৃষক নয়, তারা সন্ত্রাসবাদী যারা ভারতকে ভাগ করার চেষ্টা করছে, যাতে চীন আমাদের দুর্বল ভাঙা দেশটি দখল করতে পারে। আমরা আমাদের জাতিকে তোমার মতো করে বিক্রি করছি না।’
পরে পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন কঙ্গনা।
কঙ্গনাকে চড় দেয়ার ঘটনায় এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, বিমানবন্দরে তল্লাশির সময়ে নিজের মোবাইল ফোনটি নির্দিষ্ট ট্রেতে রাখতে রাজি হননি কঙ্গনা। তাতে আপত্তি করেন নিরাপত্তারক্ষী। তিনি অভিনেত্রীকে জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার নিয়ম অনুযায়ী, মোবাইল ওই ট্রেতে রাখতে হবে।
এর জেরেই ঝামেলা শুরু হয় এবং বিমানবন্দরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।