৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে সর্বোচ্চ সম্মানসূচক স্বর্ণপাম জিতেছে শন বেকার পরিচালিত সিনেমা ‘আনোরা’। এবার ২২টি চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়াই করেছে। তাদের মধ্যে শেষ হাসি হাসলেন শন বেকার।
উৎসবে জুরি পুরস্কার পেয়েছে জ্যাক অডিয়ার্ড পরিচালিত ‘এমিলিয়া পেরেজ’ এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন এজ লাইট’ সিনেমা। সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস সিনেমার অভিনেতা জেসে প্লেমনস।
সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন জ্যাক অঁদিয়ারের এমিলিয়া পেরেজে সিনেমার আদ্রিয়ানা পাজ, জো সালদানা, কার্লা সোফিয়া গাসকান, সেলেনা গোমেজ। সেরা পরিচালকের পুরস্কারটি পেয়েছেন গ্র্যান্ড ট্যুর ছবির নির্মাতা মিগুয়েল গোমেজ। শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের বিশেষ পুরস্কার ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’ ছবির জন্য মোহাম্মাদ রসুলফ এবং সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছেন কোরালি ফার্গেট ( দ্য সাবস্ট্যান্স), ক্যামেরা ডি’অর পুরস্কার উঠেছে ‘আরমান্ড’ ছবির হালফডান উলম্যান টডেলের হাতে।
ডিরেক্টর ফোর্টনাইটে পুরস্কার জেতেন মনগ্রেল ছবির নির্মাতা উই লিং চান ও ইউ কিও ইয়েন। শর্ট ফিল্ম পাম ডি’অর বিজয়ী হলেন নেবোজা স্লিজেপচেভিখ (দ্য ম্যান হু কুড নট রিমেইন সাইলেন্ট), দ্য স্পেশাল মেনশন শর্ট ফিল্ম পুরস্কার পেয়েছে ড্যানিয়েল সোরেসের ‘ব্যাড ফর এ মোমেন্ট।’
আসরের শেষ দিকে ইরানের মোহাম্মদ রাসুলফ পরিচালিত ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’ ছবিটি সব হিসাব-নিকাশ উলট-পালট করে দেয়।
শুক্রবার বিকেলে উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় ছবিটির। এরপর দর্শকদের টানা ১২ মিনিটের অভিবাদন পেয়েছে (স্ট্যান্ডিং ওভেশন) ছবিটি। ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’ প্রদর্শনের আগ পর্যন্ত স্বর্ণপামের জন্য বোদ্ধাদের কাছে ফেভারিট ছিল ফরাসি নির্মাতা জ্যাক অদিয়াঁরের ‘এমিলিয়া পেরেজ’। এতে অভিনয় করেছেন জোয়ি স্যালডানা, সেলেনা গোমেজ ও কার্লা সোফিয়া গ্যাসকোন।
এর পরই শন বেকারের ‘আনোরা’, গ্রিসের ইয়োর্গোস লানতিমোসের ‘কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস’, আলোচনায় ছিল। এবারের আসরে এশিয়ার দুই প্রতিনিধি চীনের জিয়া জাং-কি পরিচালিত ‘কট বাই দ্য টাইডস’ ও ভারতের পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ সিনেমা। এই আসরের মূল প্রতিযোগিতায় ছিল ফ্রান্সের চারটি ছবি।