‘নাইন টু ফাইভ’-এর উগ্র জাতীয়তাবাদী বস এবং ‘টুটসি’র টিভি পরিচালকের মতো ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করা বিখ্যাত অভিনেতা ড্যাবনি কোলম্যান ৯২ বছর বয়সে মারা গেছেন।
কোলম্যানের মেয়ে কুইন্সি কোলম্যান বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার স্যান্টা মনিকায় নিজ বাড়িতে মারা যান কোলম্যান। তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
বেন স্টিলার কোলম্যানের মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে লিখেছেন, ‘গ্রেট ড্যাবনি কোলম্যান আক্ষরিক অর্থেই অনন্য। যে কোনো চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে তিনি একটি আর্কিটাইপ তৈরি করেছিলেন। তার কাজে তিনি এতটাই ভাল ছিলেন যে, তাকে ছাড়া গত ৪০ বছরের সিনেমা এবং টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিকে কল্পনা করা যায় না।’
ড্যাবনি কোলম্যান ১৯৩২ সালে টেক্সাসের অস্টিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভার্জিনিয়া মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে দুই বছর, ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসে দুই বছর এবং সেনাবাহিনীতে দুই বছর কাটান। ২৬ বছর বয়সে আইনের ছাত্র থাকা অবস্থায় ‘মিলড্রেড পিয়ার্স’ সহ অন্যান্য ছবিতে অভিনয় করা জ্যাকারি স্কটের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। জ্যাকারি তাকে অভিনেতা হওয়ার জন্য রাজি করান।
প্রথম দুই দশকে কোলম্যান সিনেমায় এবং টিভি শোতে একজন প্রতিভাবান অভিনেতা হিসেবে কাজ করলেও অভিনয়শিল্পী হিসেবে তিনি খুব বেশি একটা লাইমলাইটে আসতে পারেননি।
১৯৭৬ সালে একটি ব্যঙ্গাত্মক সোপ অপেরা ‘ম্যারি হার্টম্যান, ম্যারি হার্টম্যান’-এ ফার্নউডের হ্যামলেটের দুর্নীতিগ্রস্ত মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করে সবার নজরে আসেন ড্যাবরি কোলম্যান।
এ ছাড়া ‘ওয়ার গেমস’-এ কম্পিউটার বিজ্ঞানী, ‘ইউ হ্যাভ গট মেইল’-এ টম হ্যাঙ্কসের বাবা এবং ‘দ্য টাওয়ারিং ইনফার্নো’ ছবিতে অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
কোলম্যান ‘দ্য স্ল্যাপ ম্যাক্সওয়েল স্টোরি’ সিনেমায় অভিনয় করে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং পিটার লেভিন পরিচালিত ১৯৮৭ সালের ছোট পর্দার নাট্যধর্মী সিনেমা ‘সর্ন টু সাইলেন্স’ সিনেমায় অভিনয় করে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে এমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ‘রে ডোনভান’ এবং ‘বোর্ডওয়াক এম্পায়ার’ যার জন্য দুটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ডস জিতেছিলেন।
কোলম্যানের অন্যান্য সিনেমার মধ্যে ‘নর্থ ডালাস ফোর্টি,’ ‘ক্লোক অ্যান্ড ড্যাগার,’ ‘ড্রাগনেট,’ ‘মিট দ্য অ্যাপলগেটস,’ ‘ইন্সপেক্টর গ্যাজেট’ এবং ‘স্টুয়ার্ট লিটল’ বেশ জনপ্রিয়।
‘দ্য গার্ডিয়ান (২০০১-২০০৪)’ সিনেমায় একজন কূটিল আইনজীবীর বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।
মৃত্যুর সময় কোলম্যান চার সন্তান মেগান, কেলি, র্যান্ডি ও কুইন্সি এবং নাতি-নাতনিদের রেখে গেছেন।