বিচ্ছেদের অনলে পুড়ছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির ঘোষণা দিয়ে ক্ষণে ক্ষণে যেন জানান দিচ্ছেন, ‘কেউ নেই, কেহ নেই তার’। এবার এই গল্পের পেছনের নায়ক রাকিব এলেন প্রকাশ্যে, মাহিকে বিঁধলেন তীক্ষ্ণ তিরে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে একটি পোস্ট দিয়ে মাহিকে ইঙ্গিত করে তিনি লিখলেন এই বিচ্ছেদের কারণ। পরোক্ষভাবেই আনলেন বেশ কিছু অভিযোগ।
রাকিব লিখেছেন, ‘এক জ্বীন সাধিকার কাছে প্রায় তিন বছর পূর্বে বন্দি হয়ে তার মন মর্জি মতন চলতে গিয়ে অধিকাংশ সময় নির্ঘুম সারারাত কাটিয়েছি আর নিজের প্রতি কোনো যত্ন নেয়ার সুযোগ না পাওয়ায় নানা অসুখ বিসুখ শরীরে বাসা বেঁধেছে।’
এখন ব্যাংককে চিকিৎসা নিচ্ছেন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তাই ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছি। এই তিন বছরে অনেকের মনে কষ্ট দিয়েছি, হয়তো ইচ্ছার বিরুদ্ধে। দয়া করে কেউ আমাকে অভিশাপ দিবেন না। দোয়া চাই…(শক্ত দলিল ছাড়া আমি কথা বলি না)।’
আগের দিনও রাকিব লিখেছিলেন কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ কথা। এসব যে মাহিকে নিয়েই লেখা তা স্পষ্ট বোঝা যায় তার কিছু শব্দের ব্যবহারে; যার একটি ‘আস্থ’ মাহিও ব্যবহার করে পোস্ট দেন তার আগের দিন।
ফেসবুকে ঢুঁ মারলেই বোঝা যায়, রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই বড় একা হয়ে গেছেন নায়িকা মাহি। কখনও লিখছেন, ‘একা একা লাগে’, কখনও ছবি দিয়ে বোঝাচ্ছেন তিনি ফের সিঙ্গেল হয়ে গেছেন।
কখনও এরই ধারাবাহিকতায় ‘নিঃসঙ্গতা’ জাপ্টে ধরে মাহি লিখছেন, ‘একটা আস্থার জায়গা হলেই চলবে, একটা মানুষের মতো মানুষ হলেই চলবে, একটুখানি যত্ন নিও ছেলে।’
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাকিব সরকারের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ হচ্ছে বলে ঘোষণা দেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাহি।
মাহি ভিডিওতে বলেন, ‘এ রকম একটা ভিডিও করতে হবে সেটা ভাবিনি। এ রকম আমাদের নিজেদের জন্য এটা বলাটা উচিত। সবার জানা উচিত। আমি আর রকিব আমরা আসলে খুব আন্ডারস্টান্ডিং থেকে বিয়ের সিদ্ধান্তে এসেছিলম। একটা পর্যায়ে মনে হয়েছে দুজন দুজনের জন্য না।’
তিনি বলেন, ‘একটা ছাদের নিচে দুটি মানুষ কেন ভালো নেই, সেটা তারাই ভালো জানে। এটা বাইরের থেকে বোঝা যাবে না।’
মাহি বলেন, ‘আমরা দুজন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সেপারেশনে যাচ্ছি, সেপারেশনে আছি। সেপারেশন কবে আর কীভাবে হবে সেটিও দুজন মিলেই ঠিক করব।’
২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। ২০২১ সালের ২২ মে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাকিবকে বিয়ে করেন মাহি। তাদের একটি ছেলে রয়েছে। গাজীপুরের ব্যবসায়ী রাকিবেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে।