মৌসুমী ভৌমিক গেয়েছিলেন ‘আস্থা হারানো এই মন নিয়ে আমি আজ তোমাদের কাছে এসে দু হাত পেতেছি’; চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মনেও কি এখন সেই সুর বেজে চলেছে? অবশ্য তা না হলে কেনই বা আস্থার জায়গা খুঁজে ফিরছেন তিনি!
কদিন ধরেই বিষণ্নতার চাষ করছেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা। মনটা ভালো নেই তার। বিচ্ছেদ তো এমনই, তবু কেমন কেমন যেন করে ওঠে বুকের ভেতরটা। হাহাকার জাগে বড্ড বেশি। ক্ষণে ক্ষণে হয়তো ফেসবুকে জানান দিচ্ছেন সে কথাই।
ফেসবুকে ঢুঁ মারলেই বোঝা যায়, স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই বড় একা হয়ে গেছেন নায়িকা। কখনও লিখছেন, ‘একা একা লাগে’, কখনও ছবি দিয়ে বোঝাচ্ছেন তিনি ফের সিঙ্গেল হয়ে গেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ছুটির দিনের বিষন্ন দুপুরে ‘নিঃসঙ্গতা’ জাপ্টে ধরে মাহি লিখেছেন, ‘একটা আস্থার জায়গা হলেই চলবে, একটা মানুষের মতো মানুষ হলেই চলবে, একটুখানি যত্ন নিও ছেলে।’
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাকিব সরকারের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ হচ্ছে বলে ঘোষণা দেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাহি।
মাহি ভিডিওতে বলেন, ‘এ রকম একটা ভিডিও করতে হবে সেটা ভাবিনি। এ রকম আমাদের নিজেদের জন্য এটা বলাটা উচিত। সবার জানা উচিত। আমি আর রকিব আমরা আসলে খুব আন্ডারস্টান্ডিং থেকে বিয়ের সিদ্ধান্তে এসেছিলম। একটা পর্যায়ে মনে হয়েছে দুজন দুজনের জন্য না।’
তিনি বলেন, ‘একটা ছাদের নিচে দুটি মানুষ কেন ভালো নেই, সেটা তারাই ভালো জানে। এটা বাইরের থেকে বোঝা যাবে না।’
মাহি বলেন, ‘আমরা দুজন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সেপারেশনে যাচ্ছি, সেপারেশনে অআছি। সেপারেশন কবে আর কীভাবে হবে সেটিও দুজন মিলেই ঠিক করব।’
২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। ২০২১ সালের ২২ মে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাকিবকে বিয়ে করেন মাহি। তাদের একটি ছেলে রয়েছে। গাজীপুরের ব্যবসায়ী রাকিবেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে।