বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিডনিতে সুরের ধারার আয়োজনে ‘হারানো সুর’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৪ আগস্ট, ২০২৩ ২০:২০

সম্প্রতি সিডনির ক্যাসুলা পাওয়ার হাউস আর্টস সেন্টারে এ সঙ্গীতসন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। সিডনির প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপভোগ করেন অনুষ্ঠানটি।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এই আয়োজনকে একটা মিলনমেলা বললেও ভুল হবে না। সাংস্কৃতিক আয়োজন যে কতটা মনোমুগ্ধকর হতে পারে, এ যেন তারই চিত্র। সাংস্কৃতিক সংগঠন সুরের ধারা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে করেছিল এই আয়োজন।

সম্প্রতি সিডনির ক্যাসুলা পাওয়ার হাউস আর্টস সেন্টারে এ সঙ্গীতসন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। সিডনির প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপভোগ করেন অনুষ্ঠানটি।

আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গান শোনান জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা। স্বামী সঙ্গীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খানের সঙ্গে সিডনিতে পৌঁছে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

সুরের ধারা-এর আয়োজনে ‘হারানো সুর’ শীর্ষক সঙ্গীতসন্ধ্যার অনুষ্ঠান শুরু হয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার কিছু পর। প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শক–শ্রোতায় কানায় কানায় ভরে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।

সিডনির সরোদশিল্পী তানিম হায়াত খান ও তবলাবাদক অভিজিৎ দানের অভূতপূর্ব পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

এরপর সঙ্গীত পরিবেশন করেন সিডনির পরিচিত সংগীত জুটি শিল্পী মামুন হাসান খান ও সৃজনী ঘোষ।

দর্শকদের করতালিতে তাদের পরিবেশনা সমাপ্তির পর মঞ্চে আসেন কনকচাঁপা।

একের পর এক জনপ্রিয় বাংলা গান দর্শকদের মাতিয়ে তোলে। রাত ১২টা নাগাদ অনুষ্ঠানের শেষ পরিবেশনায় শিল্পী থেকে দর্শক—সবাই অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠেন সংগীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খানের ‘যেই দেশেতে শহীদ মিনার’ গানে।

এ ছাড়া কামরুল আহম্মদের বাঁশির সুর মোহিত করে উপস্থিত দর্শক স্রোতাদের।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছিল প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খানের পরিচালনায় অর্কেস্ট্রা দিয়ে। প্রায় ছয় মিনিটের আয়োজনটি মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে হল ভর্তি দর্শকদের।

এই আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা সুরের ধারার প্রতিষ্ঠাতা মামুন হাসান খান, যার দীর্ঘদিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল ছিল এই আয়োজন। তাই আমন্ত্রিত অতিথিরাও প্রসংশায় সিক্ত করেন তাকে।

আয়োজকদের প্রসংশা করতে গিয়ে কনক চাপা বলেন, ‘মামুন! জয়া! আমি গনক নই,কনক। কিন্তু তবুও নিশ্চিত জানতাম এমনটাই হবে, এতোটা সুন্দর, রুচিসম্মত, প্রাণবন্ত এবং সফল। আমার মন বলছিল, তৃতীয় মন।’

আমি বিস্মিত তোমার ও জয়ার স্পিরিট দেখে, গানের প্রতি ভালোবাসা দেখে। এ যেন তোমরা আমার ওই গানের কথার উল্টোটা বলছো যে "তোমায় নিয়ে যায় তো ধরা বাজীর সব তাস" নিজের সাথে নিজেদের ভালোবাসার সাথে কিছুটা বৈরী ( নিন্দুকের মুখে ছাই? নাহ,ওর ও আজকাল দাম আছে)আবহাওয়ায় যত সুন্দর সুরের সুললিত ধারা প্রবাহিত করে দিলে, তা অবশ্যই বিস্ময় মিশ্রিত প্রশংসার দাবিদার।’

কনক চাপা আরও বলেন, ‘একটু দম নিয়ে সুরের ধারা আরও সুদীর্ঘ পথের পানে হাঁটুক। আমার হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা ফোঁটা ফোঁটা দোয়া সবসময় তোমাদের জন্য, তোমাদের সবকিছুর জন্য। আনন্দিত থেকো।’

মামুন হাসান খান বলেন, ‘আমি গানের মানুষ। বাংলা গান আমার প্রাণ। তাই প্রবাস জীবনেও গানকে ভুলতে পারিনি।‘

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের মধ্যে বাংলা গানের প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এ আয়োজন। আয়োজনটি যে সবার ভালো লেগেছে সেটিই আমাদের সার্থকতা।’

আয়োজনের এক পর্যায়ে দেখা হয় কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা ও চিত্রনায়িকা শাবনূরের। তাই বহু বছর পর বিদেশের মাটিতে দুজন দেখা করতে পেরে উল্লাস প্রকাশ করেন। ভক্তদের উদ্দেশে শাবনূর তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভেও আসেন কিছুটা সময়।

শাবনূর বলেন, ‘কনক আপু, আমরা হলাম দুই দেহে এক প্রাণ। ওনার গাওয়া কত গান আমি উপস্থাপন করেছি, আমার সাফল্যের একটা বড় অংশে আছেন কনক আপু।’

এ বিভাগের আরো খবর