‘নর্থ আমেরিকান বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যাল ২০২৩’ শেষে দেশে ফিরেছেন নগর বাউল জেমস।ফিরেই গত ৫ আগস্ট অংশ নেন দেশের একটি কনসার্টে। এ মাসে আরও কয়েকটি কনসার্টে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে তার।
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট সিটির জেইন ফিল্ডে কনসার্ট মাতিয়েছিলেন জেমস। জুলাইয়ের শেষে তিন দিনব্যাপী ‘নর্থ আমেরিকান বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যাল ২০২৩’-এ ফেস্টিভ্যাল হয়।
এ ফেস্টিভ্যালে ২২ বছর ধরে পারফর্ম করে আসছেন জেমস। বরাবরের মতোই তার পারফরম্যান্স ঘিরে পুরো ফেস্টিভ্যালে ছিল উন্মাদনা। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, ছেলেমেয়ে, মা-বাবাকে নিয়ে অনেকে এসেছিলেন মেলা দেখতে।
ছন্দে বাঁধা প্রবাসজীবনের ব্যস্ততা ফেলে মেলার দিনগুলো হয়ে উঠেছিল আনন্দমুখর। মেলা পরিণত হয়েছিল মিলনমেলায়।
ফেস্টিভ্যালের শেষ দিন দিন রাত ১০টার দিকে মাথায় গামছা বেঁধে মঞ্চে ওঠেন নগর বাউল জেমস। সে সময় মুহুর্মুহু করতালি ও বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠেন হাজারও দর্শক-শ্রোতা।
কনসার্টে একের পর এক জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন জেমস। গান শেষে দর্শক-শ্রোতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে।’
জেমসের ম্যানেজার রবিন ঠাকুর বলেন, ‘আপাতত গুরু বিশ্রামে আছেন, তবে মাঝেমধ্যে দুই-একটি কনসার্টে অংশ নিচ্ছেন তিনি।
‘এর বাইরে আপাতত কোনো কাজ নেই। তার নতুন গানের পরিকল্পনা চলছে।’
তিনি জানান, নতুন কিছু হলে অবশ্যই সবাইকে জানানো হবে। আপাতত নতুন কোনো খবর নেই।
দেশের ব্যান্ড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ সময় ধরে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন জেমস। তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘তারায় তারায়’, ‘লেইস ফিতা লেইস’, ‘সুলতানা বিবিয়ানা’, ‘হতেও পারে এই দেখা শেষ দেখা’, ‘কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী’, ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘দিদিমণি’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করোনা’, ‘তোর সব কিছুতে নয়ছয়’, ‘বাবা কত দিন দেখি না তোমায়’, ‘গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান’, ‘এক নদী যমুনা’, ‘মা’, ‘বাংলাদেশ’ ইত্যাদি।
নগর বাউল বলিউডের সিনেমার জন্যও গান গেয়েছেন।