পাইরেসির শিকার হয়েছে রায়হান রাফীর ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটি। পুরো সিনেমাই ফাঁস হয়েছে অনলাইনে। একাধিক সাইটে পুরো সিনেমাটির হল প্রিন্ট দেখা যাচ্ছে বিনামূল্যে। সুড়ঙ্গ সিনেমাটি পাইরেসি হলো কীভাবে?- এমন প্রশ্ন এখন সবার।
এমন প্রশ্ন আর সন্দেহের কিছুটা উত্তর মিলেছে ছবিটির সম্পাদক সিমিত রায় অন্তরের অনুসন্ধানে। তার মতে, ছবিটি বাংলাদেশ থেকেই পাইরেসি হয়েছে এবং সেটি সিনেমা হল থেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে তা নিয়ে কথা বললেন সিমিত।সিনেমাটির সম্পাদক সিমিত রায়ের ভাষ্য, ‘সুড়ঙ্গর পাইরেসি কপি পর্যবেক্ষণ করে যা বুঝলাম, এটা কোনো রেগুলার শো চলাকালীন রেকর্ড করা হয়নি। কারণ ভিডিওতে দর্শকদের কোনো রিঅ্যাকশন (প্রতিক্রীয়া) সাউন্ড নেই। দর্শকদের হাসির শব্দ নেই, কোনো উচ্চবাচ্য নেই! তার মানে, এটা দর্শকশূন্য হলে রেকর্ড করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্যামেরাকে ট্রাইপডে রেখে ভিডিওটি করা হয়েছে। ক্যামেরার কোনো ধরনের নড়াচড়া দেখা যায়নি। অতএব, এটার সঙ্গে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ জড়িত। একটা ফাঁকা হলে ট্রাইপডে ক্যামেরা সেট করে আড়াই ঘণ্টার সিনেমা রেকর্ড করা তো সম্ভব না, যদি হল কর্তৃপক্ষ এতে জড়িত না থাকে।’
সিমিতের বক্তব্য স্পষ্ট, যে হল থেকে এই ছবিটি চুরি হলো, সেটির সঙ্গে কর্তৃপক্ষ সরাসরি জড়িত। তা না হলে ফাঁকা হলে পুরো সিনেমা চালিয়ে ভিডিও ধারণ করা অসম্ভব।সিমিতের পর্যবেক্ষণে এও বোঝা গেছে, ছবিটি কোন দেশ থেকে পাইরেসি করা হয়েছে। কারণ অনেকেই বলতে চাইছিলেন, কলকাতা যাওয়ার পরই ছবিটি চুরি হলো অনলাইনে।
তবে সিমিতের ভাষ্য ভিন্ন, ‘সুড়ঙ্গ বাংলাদেশ থেকেই পাইরেসি হয়েছে। ভারতের সিনেমা কপি আর বাংলাদেশের কপির মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে, যা শুধু আমরাই (পরিচালক, সম্পাদক ও প্রযোজক) জানি। এর মধ্যে একটার কথা বলি, তা হলো- পেপসির টাইটেল কার্ড, যা ভারতের অংশে ছিল না।’
শুধু মুভি-সিরিজ ডাউনলোড ওয়েবসাইটে নয়, ইউটিউবেও ছড়িয়ে পড়েছে সুড়ঙ্গর অসংখ্য কপি। এগুলো সরানোর ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে ছবিটির নির্মাতা রায়হান রাফী বলেন, ‘কপিরাইট ক্লেইমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ইউটিউবের সব কপি বন্ধ করা হয়েছে। তবে ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে এখনো রয়ে গেছে কিছু কপি। সেগুলো ব্লক করার বিষয়ে কাজ চলছে।’