বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

একনজরে হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় সিনেমাগুলো

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৯ জুলাই, ২০২৩ ১০:৪১

প্রথম সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’ দিয়েই পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে হুমায়ূন আহমেদের। সিনেমাটি তার একই নামের উপন্যাস থেকে নির্মিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। সিনেমাটিতে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পাকসেনাদের নৃশংসতা, মুক্তিবাহিনীর গেরিলা অপারেশন, সাধারণ মানুষের আতঙ্ক- সবকিছু ওঠে এসেছে।

আজ কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি তার যাবতীয় সাহিত্যকর্ম, চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাণের মাধ্যমে অমর হয়ে গেছেন। তার সৃষ্টিকর্ম এখনও আমাদের হাসায়, কাঁদায়। বিশেষ করে চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলো যেন জীবন্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায় আমাদের আশপাশে।

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুদিনকে স্মরণ করে দেখে নিতে পারেন তার নির্মিত যেকোনো চলচ্চিত্র।

একনজরে হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় সিনেমাগুলো

আগুনের পরশমণি

প্রথম সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’ দিয়েই পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে হুমায়ূন আহমেদের। সিনেমাটি তার একই নামের উপন্যাস থেকে নির্মিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। সিনেমাটিতে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পাকসেনাদের নৃশংসতা, মুক্তিবাহিনীর গেরিলা অপারেশন, সাধারণ মানুষের আতঙ্ক- সবকিছু ওঠে এসেছে।

১৯৯৫ সালে নির্মিত এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর, বিপাশা হায়াত, আবুল হায়াত, ডলি জহুর, শিলা আহমেদসহ আরও অনেক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেতা ও অভিনেত্রী।

১৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ৮টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করে। নিঃসন্দেহে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে এ সিনেমাটির স্থান শীর্ষ পর্যায়ে।

শ্রাবণ মেঘের দিন

প্রথম সিনেমা বানানোর চার বছর পর দ্বিতীয় সিনেমায় হাত দেন হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৯৯ সালে নির্মিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন মুক্তা, জাহিদ হাসান, মেহের আফরোজ শাওন ও মাহফুজ আহমেদ।

সিনেমায় শহরের মানুষের চোখে গ্রামের সরলতা, গ্রামের সবার মধ্যে বন্ধন এবং সহযোগিতা চিত্র ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি আছে নৌকা ভ্রমণ, মাঝির গান, যাত্রাপালা, আঞ্চলিক গানের দল ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে। এই সিনেমায় ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’ গান লেখার মাধ্যমে গীতিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে হুমায়ূন আহমেদের। গানটিও তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।

দুই দুয়ারী

২০০০ সালে হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন তার আরেক সিনেমা ‘দুই দুয়ারী’। তৎকালীন ঢাকা শহরের প্রেক্ষাপট ফুটে উঠেছে এই সিনেমায়। এই সিনেমার মাধ্যমে নির্মাতা বলতে চেয়েছেন সব সময় সবকিছুর উত্তর থাকে না। জীবন ম্যাজিকাল এবং এই সত্যটা মেনে নিলেই জীবন আরও উপভোগ্য হয়ে উঠবে!

এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অভিনেতা রিয়াজ প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। রিয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন মেহের আফরোজ শাওন, মাহফুজ আহমেদ, ডা. এজাজসহ আরও অনেকে। রুনা লায়লার কণ্ঠে জনপ্রিয় ‘লীলাবালি লীলাবালি’ গানটি দুই দুয়ারী সিনেমার ব্যবহার করা হয়। গানটিও আবার নতুন করে জনপ্রিয়তা পায় ওই সময়।

চন্দ্রকথা

সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর গাওয়া ও আমার উড়াল পঙ্ক্ষীরে গানের কথা মনে আছে? এই গানটি বব্যহার হয় সিনেমা চন্দ্রকথায়। গানটি লেখাও হুমায়ূন আহমেদের। হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত চার নম্বর সিনেমা এটি। মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন মেহের আফরোজ শাওন। এ ছাড়াও অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। সিনেমার জনপ্রিয় ‘ও আমার উড়াল পঙ্ক্ষীরে’ গানটি লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ এবং এতে কণ্ঠ দিয়েছেন সুবীর নন্দী।

শ্যামল ছায়া

হুমায়ূন আহমেদের নির্মাণে পাঁচ নম্বর সিনেমা শ্যামল ছায়া। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে তার নির্মাণে দ্বিতীয় সিনেমা এটি। এটি নির্মিত হয় ২০০৪ সালে। যুদ্ধকালে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাদের হাত থেকে বাঁচতে, এক গ্রামের কয়েকজন মানুষ ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। জীবন বাঁচাতে এক নৌকায় আশ্রয় নেয়া বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন বয়সের এবং নানা মানসিকতার মানুষগুলোকে নিয়ে তৈরি এ সিনেমাটি। অভিনয় করেছেন হুমায়ুন ফরীদি, মেহের আফরোজ শাওন, শিমুল, রিয়াজ, স্বাধীন খসরু এবং আরও অনেক প্রখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রী।

নয় নম্বর বিপদ সংকেত

শ্যামল ছায়ার নির্মাণের তিন বছর পর ২০০৭ সালে হুমায়ূন আহমেদ তৈরি করেন কমেডি সিনেমা ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’। চলচ্চিত্রটিতে নির্মাতা তার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দের বিভিন্ন বিষয় ধারণ করেছেন। হাস্যরসে পূর্ণ এই সিনেমাটি হুমায়ূন আহমেদের গাজীপুরের নুহাশপল্লিতে চিত্রায়িত। এতে অভিনয় করেছেন রহমত আলী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, দিতি, তানিয়া আহমেদ, চ্যালেঞ্জার, স্বাধীন খসরু এবং আরও অনেকে।

আমার আছে জল

বলা হয়ে থাকে ‘আমার আছে জল’ আপাদমস্তক সিনেমাটি হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য সিনেমার তুলনায় বেশ আধুনিক ধাঁচের। ২০০৮ সালে নির্মিত ছবিটিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন বিদ্যা সিনহা মিম। সিনেমার গল্পে মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক, বোনদের মধ্যে ভালোবাসার ও বিসর্জনের সম্পর্কসহ বেশ কয়েকটি মানবিক সম্পর্ক চলচ্চিত্রটিতে হুমায়ূন আহমেদ খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। তবে মিম ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন শাওন, জাহিদ হাসান, ফেরদৌস। সিনেমাটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্মাননাও অর্জন করেছে।

ঘেটুপুত্র কমলা

হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত সবশেষ সিনেমা ঘেটুপুত্র কমলা। যে বছর সিনেমাটি মুক্তি পায় সে বছরেই মৃত্যু হয় এই কথাসাহিত্যিকের। প্রায় দেড়শ বছর আগের সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা গ্রামের এক ঘেটুপুত্রের কল্পকাহিনী নিয়ে তৈরি এ চলচ্চিত্রটি। সিনেমাটি মুক্তির পর বেশ সমালোচনারও জন্ম দিয়েছিল। এতে ‘কমলা’ চরিত্রে দেখা গেছে শিশুশিল্পী মামুনকে। এ ছাড়াও অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, মুনমুন আহমেদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শামিমা নাজনিন, আগুনসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর