বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আদম’ প্রদর্শন বন্ধে রিট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ ২০:২৬

রিট আবেদনে বলা হয়, ‘আদম নামের সিনেমাটিতে মুসলিম, হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে ধর্মীয় উস্কানির চেষ্টা করা হয়েছে। পবিত্র রমজানের পর ঈদুল ফিতরে এ ধরনের ধর্মীয় উস্কানিমূলক সিনেমা মুক্তি দেয়া হলে তা জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে।’

মুসলিম ও হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে ‘আদম’ নামক সিনেমার সেন্সর সনদপত্র বাতিল করে তা প্রদর্শন ও প্রচার বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা জামিল হাসানের পক্ষে বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেট মো. ইসমাঈল হোসেন এই রিট দায়ের করেন।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, আদম সিনেমার পরিচালক আবু তৌহিদ হিরন, প্রযোজক তামিম হোসাইনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

জামিল হাসান এর আগে ‘আদম’ সিনেমার সেন্সর সনদপত্র বাতিল ও প্রদর্শন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তথ্য সচিব বরাবর ১২ এপ্রিল আবেদন করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, “২ এপ্রিল আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তির জন্য ‘আদম’ নামীয় একটি বাংলা সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ হয়েছে। একজন সচেতন ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ট্রেলার এবং তৎপ্রেক্ষিতে নেটিজেনদের মন্তব্য দেখেছি।

“অতঃপর ওই সিনেমা সংক্রান্তে দেশের নানা পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট পড়ে জানতে পারি যে ২০২২ সালে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড গত বছরের ১৯ নভেম্বর সিনেমাটি প্রদর্শনের জন্য সেন্সর সনদপত্র/ছাড়পত্র দিয়েছে।”

আবেদনে বলা হয়, ‘প্রকাশিত সিনেমাটির ট্রেলার ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাতে জানা যায়- সিনেমার গল্পে আদম নামে একটি ছেলের সঙ্গে কামিনী নামে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে কামিনী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কুমারী কামেনী অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

‘ট্রেলারে দেখা যায়, মুসলিম সমাজে ফতোয়াকে উসকে দেয়া হয়েছে। গ্রাম্য বিচারে কামিনীকে মাটিতে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলার ফতোয়া দেন ইমাম সাহেব। হিন্দু পুরোহিত কামিনাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত দেন। বৌদ্ধ ধর্ম প্রধান জীব হত্যা মহাপাপ এবং খ্রীষ্টান যাজক অনাগত সন্তানকে পৃথিবীর আলোয় আনতে মতামত দেন।

‘শালিসের মধ্যেই কেউ একজন আজান দেন। তখন তাকে থামিয়ে দিয়ে ইমাম বলেন, ‘এই থাম। আজান দিচ্ছে...! তুই কি জানস ও হিন্দু না মুসলমান!’

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ মুসলিম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী। কিন্তু সিনেমাটিতে মুসলিম, হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে ধর্মীয় উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজানের পর ঈদুল ফিতরে এ ধরনের ধর্মীয় উস্কানিমূলক সিনেমা মুক্তি দেয়া হলে তা জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। ইতোমধ্যে ফেসবুক ও ইউটিউবে অনেক নেটিজেন সিনেমাটির বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।

‘বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে আগ্রহী। সিনেমাটিতে একইসঙ্গে ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো সংলাপ ও দৃশ্য রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। এটা আমাদের সংবিধানের মূলনীতির সরঙ্গ সাংঘর্ষিক।

‘এমতাবস্থায়, ওই সিনেমার সেন্সর সনদপত্র/ছাড়পত্র বাতিল করে প্রদর্শন ও প্রচার বন্ধ করা প্রয়োজন।’

আইনজীবী ইসমাঈল হোসেন ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় ও সেন্সর আপিল কর্তৃপক্ষ আদম সিনেমার সেন্সর সনদ বাতিল ও প্রচার-প্রদর্শন বন্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করেছি।

‘আগামী রোববার শুনানির জন্য রিটটি বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীর ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চের তালিকায় আসতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর