দীর্ঘ দুমাস চিকিৎসা শেষে অবশেষে বাড়ি ফিরলেন শুটিং হাউজে বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া মডেল অভিনেত্রী শারমিন আঁখি।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভিনেত্রীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
এসময় বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শারমিন, শ্বাসনালিও দগ্ধ ছিল। তাকে কয়েক দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। সব মিলিয়ে দীর্ঘ দুই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ তাকে ছাড়পত্র দেয়া হলো।
তিনি আরও বলেন, অনেকটা যুদ্ধ করে তাকে সুস্থ করে তুলেছেন আমাদের চিকিৎসকেরা। এ জন্য আমরাও অনেক আনন্দিত। তবে এমন ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের এখনই সজাগ হতে হবে। নইলে এমন ঘটনার শিকার আমাদের হতেই হবে।
অভিনেত্রী আঁখি বলেন, সামনের ছয় মাস আমার জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। এ সময়ে শরীরে রোদ লাগাতে পারব না। লাইটের আলো থেকেও নিজেকে দূরে রাখতে হবে। পুরোপুরি অন্ধকার ঘরবন্দী থাকতে হবে।
গত ২৮ জানুয়ারি বেলা ২টার দিকে মিরপুর-১১, কালশী রোড অ্যাপেক্স শো–রুমের পাশের একটি শুটিং স্পটে দুর্ঘটনার শিকার হন আঁখি। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তার দুই হাতের সম্পূর্ণ, দুই পা, মুখমণ্ডল ও মাথার একপাশসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন শারমিন আঁখি। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা আঁখির মঞ্চে যাত্রা শুরু ‘অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়’র মধ্য দিয়ে। এই দলের নিয়মিত প্রযোজনা তারাসংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ নাটকের মূল চরিত্র ‘বসন’ করেই আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে টিভি নাটকে কাজ করেন তিনি।