বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেমন হলো ‘বুকের মধ্যে আগুন’

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২৩ ১৭:১৭

বৃহস্পতিবার রাতে অনেকটা চুপিসারে এই ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে হইচইয়ে। নেই কোনো বিজ্ঞাপন, কোনো প্রচারণাও। এর পেছনে অবশ্য কারণও আছে। এরই মধ্যে বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।

নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা নায়ক সালমান শাহের মৃত্যু রহস্যের জট খোলেনি আজও। হত্যা নাকি আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি; সে প্রশ্ন উঠেছে বহুবারই। আসলে কী ঘটেছিল?

এসব প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না মিললেও প্রায় একই রকম এক ঘটনা আর বেশ অনেক তথ্যই সামনে এসেছে এবার। ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই এ ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করেছে ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’।

বৃহস্পতিবার রাতে অনেকটা চুপিসারে এই ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে হইচইয়ে। নেই কোনো বিজ্ঞাপন, নেই প্রচারণাও। এর পেছনে অবশ্য কারণও আছে। এরই মধ্যে বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।

প্রকাশের পর পরই ভাইরাল হয়েছে আলোচিত এই সিরিজের নানা ছবি ও রিভিউ। আটটি এপিসোডে সাজানো হয়েছে হয়েছে সিরিজটি। ঘটনাবহুল নায়কের জীবন, আশপাশের অবস্থা- সবই আছে এতে। নায়কের জনপ্রিয়তা, একাকীত্ব, চাওয়া-পাওয়া; মোট কথা যাপিত জীবনের এক ডায়েরি যেন প্রকাশ্যে এলো এর মাধ্যমে।

সালমান শাহের আদলে দেখা গেছে ইয়াশ রোহানকে, তার স্ত্রীর চরিত্রে আছেন তমা মির্জা। নায়কের মা নীলা চৌধুরীর মতো হাজির হয়েছেন তানিয়া আহমেদ। আছে সালমান শাহের নায়িকা শাবনূরের মতো চরিত্রও, শাহনাজ সুমি হাজির হয়েছেন নায়িকার আদলে। তৌকীর আহমেদ, তারিক আনাম খান, গাজী রাকায়েতসহ আরও অনেককে দেখা যায় এই সিরিজে। রহস্য ভেদ করার লড়াইয়ে নামা পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।

তানিম রহমান অংশু পরিচালিত ও শাহরিয়ার শাকিল প্রযোজিত সিরিজটির নামের সঙ্গে মিল রয়েছে প্রয়াত নায়ক সালমান শাহের শেষ সিনেমা ‘বুকের ভিতর আগুন’-এর। পর্দায় উপস্থিত ওই সময়ের সবাইকেই নব্বইয়ের দশকের সময়ের গেটআপে দেখা গেছে এই সিরিজে। এমনকি গাড়ি, কফিশপ, পার্টিসেন্টার বা বাড়িগুলোও দেখানো হয়েছে সে সময়ের মতো করে।

সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে ‘বুকের মধ্যে আগুন’ নিয়ে কথা বলছেন অনেকে। তারা এর সঙ্গে ‍মিল খুঁছে পাচ্ছেন সালমান শাহের জীবন ও মৃত্যুর রহস্যের সঙ্গে।

সিনেমা রিভিউয়ের একটি গ্রুপে লেখা হয়েছে, ‘একটি কনটেন্ট কখন আপনাকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়? যখন সেটার মূল বিষয়টা কিংবা মূল টুইস্টটার পয়েন্টে আপনি ডুবে যাবেন। আপনি প্রতি মুহূর্তে উদগ্রীব থাকেন সত্যি কি হয়েছিল, কি ঘটেছিল। আর হ্যাঁ, নির্মাতা এই জিনিসটাই করেছেন সুনিপুণভাবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।’

হইচইয়ের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও শুক্রবার দুপুরে এই প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজে সিরিজটি ট্রেলার প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘এতগুলো suspect-এর মধ্যে আসল অপরাধীকে কি ধরতে পারবে ASP Golam Mamun?’

গত জানুয়ারিতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘বুকের মধ্যে আগুন’ ওয়েব সিরিজের গল্প নিয়ে ধারণা দেয় হইচই। সিরিজটির ঘোষণা আসার পর এর গল্পের প্রেক্ষাপট জেনে নানা মন্তব্য করতে থাকেন অনেকে। ফেব্রুয়ারিতে সিরিজ নিয়ে আপত্তি তোলেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী ও মামা আলমগীর কুমকুম।

সিরিজটি প্রচার বন্ধের হাইকোর্টে একটি রিট করেন সালমানের মা। সালমানের মামা ৫ ফেব্রুয়ারি একটি লিগ্যাল নোটিস পাঠান হইচইকে। তবে এসবের মধ্যেই মুক্তি পেলে এই সিরিজটি।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজ বাসা থেকে উদ্ধার হয় সালমান শাহের মরদেহ। এ ঘটনায় মামলা করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২৭ বছরেও জট খোলেনি এই মৃত্যুরহস্য। তবে হইচইয়ে যে সিরিজ বানানো হয়েছে তাতে বেরিয়ে এসেছে অনেক তথ্য; যা দেখে অনেকটাই বোঝা যায় আসলে কী ঘটেছিল নায়ক সালমান শাহের জীবনে।

এ বিভাগের আরো খবর