ভারতের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেন মারা গেছেন। দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের কন্যা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী শ্রাবণী সেন মায়ের মৃত্যুর খবর দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, 'আজ ভোরে মা চলে গেলেন।'
গত ২১ ডিসেম্বর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমিত্রা সেনকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সোমবার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানান শ্রাবণী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেন বার্ধক্যজনিত একাধিক রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া ধরা পড়ে। অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও এর প্রভাব পড়ে।
সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা বলেন, 'দিদি খুব মিশুক ছিলেন। সব ধরনের গান গাইতেন। আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আমার ভীষণ প্রিয় মানুষ ছিলেন। দিদির মৃত্যুতে সংগীতজগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো।'
সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সুমিত্রা সেনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তার প্রয়াণে সংগীতজগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি সুমিত্রাদির দুই কন্যা ইন্দ্রাণী ও শ্রাবণী এবং সুমিত্রাদির পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, দেবব্রত বিশ্বাস, সুচিত্রা মিত্র ও কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমসাময়িক শিল্পী সুমিত্রা সেন। তার জন্ম ১৯৩৩ সালে।
১৯৫১ সালে দুটি নজরুলগীতি রেকর্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সুমিত্রা সেন। তার দুই মেয়ে ইন্দ্রাণী সেন ও শ্রাবণী সেনও বাংলার সংগীতজগতে অবদান রাখছেন।