বিছানা-বালিশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগওয়ালা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার পর স্বামী শরিফুল রাজের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী পরীমনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে এ বিষয়ে সমালোচনা হলেও এ নিয়ে কোনো কথাই বলছেন না রাজ।
রোববার ভোরে ও বিকেলে ফেসবুকে ওই দুই পোস্ট দেন পরীমনি। এর মাঝে রাজও একটি পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু স্ত্রীর অভিযোগের কোনো জবাব বা এ প্রসঙ্গে কোনো কথাই তিনি সেখানে লেখেননি।
রাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কয়েক লাইনের লেখাটি লিখেছেন সন্তান রাজ্যকে নিয়ে। ছেলেকে নিয়ে একটি ছবিও এর সঙ্গে পোস্ট করেছেন তিনি।
রাজ লিখেছেন, ‘প্রিয় পুত্র আমার, এ বছর তো অবশ্যই, সামনের সময়টাও দুর্দান্ত কাটুক তোমার। আগামী বছরগুলোতে তোমার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আমার হৃদয় সব সময় তোমার জন্য ভালোবাসায় পূর্ণ।
‘তুমি যত বড় এবং শক্তিশালী হও না কেন! তুমি কখনই তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। হ্যাপি নিউ ইয়ার।’
এর আগে রাজ-পরীর সাংসারিক সংকট নিয়ে নানা তথ্য সামনে এলেও বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে তেমন কোনো ইঙ্গিত ছিল না। তবে ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে রাজ-পরী দম্পতির বিচ্ছেদের কথা ছড়াতে থাকে।
ওই দিন মধ্যরাতে বিয়েবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি। রাত পৌনে ১টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।’
এরপর নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রোববার ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বিছানা-বালিশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগওয়ালা দুটি ছবি পোস্ট করে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন নায়িকা। তিনি লেখেন, ‘শুভ নববর্ষ। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন।’
এর মাঝে রোববার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে আবার পরীমনি তার নতুন স্ট্যাটাসে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। অবশ্য তার সাত মিনিট আগে অভিনেতা রাজও দেন ফেসবুক পোস্ট। কিন্তু এতে পরীমনি বা তার অভিযোগ নিয়ে নেই কোনো তথ্য।
সর্বশেষ যে পোস্টে পরীমনি রাজের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিয়েবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন, তাতে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত এই অভিনেত্রী জানান, এতদিন তার চেষ্টাতেই রাজের সঙ্গে সংসার টিকে ছিল। তবে রাজ বারবার গায়ে হাত তোলার পর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব নয়।
পরীমনি লিখেছেন, বাবা-মায়ের একটি ‘অসুস্থ সম্পর্ক’ সন্তানের জন্যও ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আর তাই তিনজনের মঙ্গলের জন্যই তিনি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।