ফিল্ম অ্যালায়েন্স অফ বাংলাদেশ (বিএফএ) ঢাকায় আয়োজন করেছে ক্রিয়েটিভ সামিট। ৩০ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে এ ফেস্ট হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। আয়োজনে নির্মাতা পিপলু আর খান বলেন, 'ক্রিয়েটিভ ইকোনমি বা ক্রিয়েটিভ সেকশনে বিনিয়োগের জন্য ভালো পরিবেশের প্রয়োজন। সেটা কীভাবে তৈরি করা যায়, সেটাই আমরা এ সামিটে আলোচনা করব।'
তিনি আরও বলেন, 'রিফর্ম মানে যে সব বদলাতে হবে, এমন না। আমরা একটা অনুকূল পরিবেশ চাই।'
বিজ্ঞাপন নির্মাতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘বিএফএ এখনও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি, এটি মূলত অ্যাকাডেমিক এক্সারসাইজ প্ল্যাটফর্ম। চলচ্চিত্র বা দৃশ্য শিল্পের অনুশীলন, অধ্যয়ন, চিন্তানীতি তৎপরতার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনার একটি চিন্তাকেন্দ্র। শিল্প-সংস্কৃতির সব অংশীজনকে নিয়েই আমাদের অ্যালায়েন্স।'
লিখিত বক্তব্যে অমিতাভ বলেন, ‘বড় পরিসরে কনটেন্ট, বিশেষ করে সিনেমা কিংবা ভিজ্যুয়াল শিল্পের নীতিমালা রিফর্ম করা, বাংলা কনটেন্টের সম্ভাবনার সময়কে রিডিফাইন করাটা আমাদের জরুরি কাজ বলে মনে হয়েছে। তাই আমরা প্রডিউসার, ফিল্মমেকার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, আর্টিস্ট, রাইটার, সিনেমাটোগ্রাফার কিংবা দৃশ্য-সংস্কৃতির অংশীজন, নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যমকর্মীসহ সবাইকে নিয়ে উৎসবের আয়োজন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সময় এনেছে সিনেমা-ওটিটি কিংবা সব দৃশ্য শিল্পের জন্য চিন্তা নবায়নের, সব ধরনের নীতি নবায়নের এবং বাংলা কনটেন্টের যে বিশ্ব বাজার তৈরি হয়েছে সেখানে অবস্থান নেয়ার। যে কাজটি ইতোমধ্যে দেশে, বিদেশে নানা প্ল্যাটফর্মে উৎসবে আমাদের তরুণরা শুরু করেছে, সেটির পৃষ্ঠপোষকতা এখন জরুরি।
‘শিল্প সংস্কৃতি কিংবা বিনোদন দাতব্য বিষয় নয়, বরং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ফলে এটাকে নীতিনির্ধারকদের ক্রিয়েটিভ ইকোনমি হিসেবে দেখা সময়ের দাবি। আর এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে যুক্ত করে একটা পথরেখা তৈরি করাই এই ক্রিয়েটিভ সামিটের লক্ষ্য।’
ফিল্ম অ্যালায়েন্সে যুক্ত আছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সংগঠক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, তারিক আনাম খান, নুরুল আলম আতিক, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী, কামার আহমাদ সাইমন, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, পিপলু আর খান, নূর সাফা জুলহাজ, সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, ইরেশ যাকের, জয়া আহসান, মেজবাউর রহমান সুমন, রুবাইয়াত হোসেন, রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতসহ অনেকে।
গল্প বলার স্বাধীনতাকে মর্মে ধারণ করে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দিনব্যাপী এ উৎসবে থাকছে সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক ও অংশীজনের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক মতবিনিময় সেশন, ইনস্টলেশন, চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও সংগীতানুষ্ঠান। ইতোমধ্যে ফেস্টিভ্যালের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজও সক্রিয় আছে বলে জানান আয়োজকরা।
জনপ্রিয় নির্মাতা পিপলু আর খান জানান, উৎসবের উদ্বোধন করবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফেরদৌসী মজুমদার, নির্মাতা মশিউদ্দিন শাকের ও মোরশেদুল ইসলাম। সেখানে সালাহউদ্দীন জাকীকে দেয়া হবে বিশেষ সম্মাননা।