নিজের সময়ের এক নির্মাতার সমালোচনা করেছেন দেশের গুণী চলচ্চিত্রকার নুরুল আলম আতিক। সোমবার সকালে আতিক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেয়ার মাধ্যমে সমালোচনা করেন।
লেখায় আতিক সেই পরিচালকের নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি যে বিবরণ দিয়েছেন এবং যে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন, তাতে সহজেই বোঝা যায়, সেই পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আতিক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমার সময়ের এক সেলিব্রিটি ফিল্ম-মেকার অনেক আক্ষেপ নিয়ে তাঁর সময়ের সিনেমা-করিয়েদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বেশ রাজনীতি করলেন ফেসবুক স্ট্যাটাসে! শিল্পীর ভূমিকা, রাষ্ট্রের দায়িত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি!
‘আহা, তিনি কি কি দায়িত্ব পালন করেছেন, একবার নিজে মনে করে দেখুন! নিজের আখের গোছানো ছাড়া আর কিছু কোনোদিন করেছেন? হ্যাঁ, করেছেন। দল পাকিয়েছেন! কেন? দল বেঁধে টাকা কামানোর জন্যে।
‘ক'রে খেয়েছেন এক বড় কাগজ আর একটা টিভি চ্যানেলের সতীর্থ ভাইবেরাদরদের নিয়ে। নাকে শর্শের তেল দিয়ে, বিজ্ঞাপনে ঘুম পাড়িয়ে যে ৩০০ পরিবারের সর্বনাশ করেছেন, কোনোদিন তাঁদের খোঁজ নিয়েছেন? নেন নাই!
‘আর আমার সময়ের সিনেমার অন্যতর সম্ভাবনাগুলাকে আপনাদের চরদখলি লাইঠাল বাহিনীর মাস্তানিতে নস্যাত হতেও দেখলাম। কী জবর-দখলের রাজনীতি-দর্শন! ক'রে খাইছেন শুধু! নানান সামপ্রতিক বিযয়কে, ব্যক্তিকে নিয়া নাড়াচাড়ার ব্যবসায়িক সুখেই থাকছেন...আর এখন এক বিশাল, বিপ্লবী আওয়াজ তুলছেন!
‘এতকাল দেশে-বিদেশে কি বেচলেন তা অল্পকিছুদিন বাদে সবাই জানবে, কারণ পরের মানুষ আরও স্পস্ট করে কিছু হাজির করতে শুরু করেছেন! আর, তাবেদারদেরও ব্যবসার ইতি ঘটবে শিগগিরই! এতো বাজে কথা বলে মনটাই ছোট হলো শুধু!’
একদিন আগেই অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমরা এমন এক সময় নির্মাণ করছি সবাই মিলে, যখন দেশে কারও সিনেমা সেন্সর সার্টিফিকেট পাইলে অন্যরা অভিনন্দন জানায়। ভাবেন অবস্থা।
‘আমরা এমন এক সময় নির্মাণ করছি, অন্যায়ভাবে আমাদের সিনেমা আটকে দিলেও আমরা এত মৃদু কণ্ঠে কথা বলতে চাই যেন মান্যবরেরা মাইন্ড না করেন। যেন সিনেমা আটকানোটা অন্যায় না, মান্যবরকে বিরক্ত করাটা অন্যায়।’
লেখার শেষে ফারুকী উল্লেখ করেন, ‘আমাদের মত ভিন্ন হতে পারে, ভোটের বাজারে আমরা যার যাকে পছন্দ তার পক্ষে কাজ করতে পারি, কিন্তু গল্প বলবার স্বাধীনতায় যদি কেউ হাত দেয়, আমাদের এক হয়ে চিৎকার করতে হবে।’