অভিনেত্রী শাবনূরের জন্মদিন ১৭ ডিসেম্বর। বিশেষ এ দিনে স্মৃতিচারণা করেছেন কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। শনিবার বিকেলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বড় একটি স্ট্যাটাসে শাবনূরকে নিয়ে নিজের মতামত ও কিছু স্মৃতির কথা লেখেন তিনি।
কনকচাঁপার অসংখ্য গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন শাবনূর। তার অধিকাংশই হয়েছে জনপ্রিয়। কনকচাঁপা জানান, তিনি খুবই গর্বিত যে শাবনূরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের প্রায় পুরো সময়ই কনকচাঁপা তার সঙ্গে ছিলেন। শাবনূরের অভিনীত এক শ ভাগের নিরানব্বই ভাগ গানই তার গাওয়া বলে দাবি করেছেন কনকচাঁপা।
কনকচাঁপা বলেন, ‘আমাদের দুই দেহ এক প্রাণ বলা যায়।’ তিনি এ-ও বলেন যে ‘শাবনূরের সমসাময়িক অনেকেই আছেন কিন্তু কাছাকাছি কেউ নেই।’
কনকচাঁপা লেখেন, ‘শাবনূর একটি পরিপূর্ণ প্রতিভাময় শিল্পীর নাম, যাকে বাংলাদেশ কখনোই ভুলতে পারবে না! তার অভিনয়শৈলী, তার উচ্চারণ, তার দৈহিক সৌন্দর্য, তার চাদপানা মুখশ্রী গোলাপের মতো হাসি এবং তার নয়নযুগল পুরো যুবসম্প্রদায়কে বুঁদ করে রেখেছে কয়েক যুগ। তার রেশ এখনও কাটেনি, কাটবেও না কখনও। এই শাবনূর এপিসোড থেকে দর্শক বেরোতেও চায়নি, চাইবেও না। কারণ, এমন প্রতিভার অধিকারী শত জনমে একজনই হয়।
‘আমি বলা যায় প্রথম থেকেই তার জন্য গাইছি। আশ্চর্যজনক কথা যে তার সঙ্গে আমার খুবই কম দেখা হয়েছে। আমি আমার মতো গেয়েছি তিনি তার মতো অভিনয় করেছেন। কিন্তু যখন পিকচারাইজেশন দেখেছি তখন আমারই বিশ্বাস হয়নি যে এটা আমি গেয়েছি, মনে হয়েছে এটা যেন তারই কণ্ঠ!’
এই একাকার হওয়ার কৃতিত্ব শাবনূরকে দিয়েছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘শাবনূর আসলে আমাদের কবরীর পরে ভার্সেটাইল, যাকে বলে সেই উঁচুমানের মহানায়িকা। সিরিয়াস অভিনয়, হাসির অভিনয়, ছটফটে দুরন্ত কিশোরীর অভিনয় সবই দুর্দান্ত। তবে তার ভয়ংকর সুন্দর চোখে যখন অশ্রু ঝরে তখন একটা কথাই মাথায় আসে-ফুল নেব না অশ্রু নেব ভেবে হই আকুল!
‘আগেই বলেছি ব্যক্তিগত জীবনে তার সঙ্গে আমার খুব কম দেখা হয়েছে। আমার রেকর্ডিং স্টুডিও আর তার কর্মক্ষেত্র আলাদা জায়গায় হওয়াতেই এমন হয়েছে। কিন্তু যখন তাকে দেখেছি, খেয়াল করেছি খুব সহজসরল তার উপস্থিতি। তার কাচভাঙা হাসি আমার মন কেড়ে নিয়েছে। সবারই বোধ হয় এভাবে অনুভব হয়। সাধারণভাবে দেখা-সাক্ষাৎ হলে মনে হয়েছে এই মেয়ে সিরিয়াস অভিনয় করে কীভাবে!’
কনকচাঁপা বিশ্বাস করেন, একদিন তার গান আর শাবনূরের অভিনয়ের সমন্বয় নিয়ে গবেষণা হবে। কিন্তু তখন হয়তো তা দেখার জন্য দুজনের কোনো একজন থাকবে না এ পৃথিবীতে।
শবনূরকে মহানায়িকা উল্লেখ করে কনকচাঁপা তার আনন্দিত, সুখী, সুদীর্ঘ জীবন কামনা করেছেন। জানিয়েছেন শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।