একসময়ের শিশুশিল্পী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি বড় হয়েছেন। হচ্ছেন সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দীঘি পড়ালেখার পাশাপাশি অভিনয়টাও নিয়মিত করতে চান।
কিন্তু অভিনয়জগতের সিন্ডিকেট-খেলায় হাঁপিয়ে উঠেছেন তিনি। এমনটাই তিনি জানিয়েছেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে। রোববার রাতে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রির মানুষগুলো দুনিয়ার সবচেয়ে নিষ্ঠুর। এতে আমার কোনো অনুশোচনা নেই। কারণ আমার দক্ষতার ওপর আমার বিশ্বাস আছে। আমার আস্থা আছে, যারা আমার জন্য প্রার্থনা করেন এবং আমার কাজের প্রশংসা করেন, তাদের ওপর।’
দীঘি জানান, এসব কথা জানানোর এবং লোখার কোনো ইচ্ছাই তার ছিল না। ‘কিন্তু ৩ বছরের বেশি সময় ধরে আমি ক্ষোভ বয়ে বেড়াচ্ছি। আমি ক্লান্ত এবং অসুস্থ এই সিন্ডিকেট-খেলায়।’ লেখেন দীঘি।
দীঘির মা-বাবা দুজনই অভিনয়ের মানুষ। তার মা অভিনেত্রী দোয়েল, প্রয়াত হয়েছেন। বাবা অভিনেতা সুব্রত, এখনও অভিনয় করেন এবং তিনিই দীঘির সবকিছু।
অভিনয়শিল্পী মা-বাবার সন্তান প্রসঙ্গ দিয়েই লেখা শুরু করেন দীঘি। লেখেন, ‘যার জীবনের আসল স্টারই সঙ্গে নেই, এমন একজন স্টারকিডের সংগ্রাম কেমন হয়, সেটা আপনারা জানেন।’
অভিনেত্রী জানান, তিনি প্রায়ই অনেকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে নতুন সিনেমায় নতুন অভিনয়শিল্পীদের যুক্ত হওয়ার খবর দেখেন।
সেগুলোর মধ্যে কিছু আছে, যা দেখে হাসি পায় দীঘির। দীঘি প্রশ্ন রেখে লেখেন, ‘আমাকে নিয়ে বা আমার কাজ নিয়ে যদি কেউ সন্তুষ্টই না হতে পারে, তাহলে কেন কেন তারা মিথ্যে আশ্বাস দেয়।
‘নুতন প্রজেক্ট এবং যারা সেই প্রজেক্টটি করছেন, তাদের নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমি সেই ভুয়া মানুষদের জন্য ক্লান্ত যারা আমাকে মিথ্যা আশা দেয় এবং দিন শেষে আমাকে অপমান করে।’
বিষয়টি নিয়ে দীঘির সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি। তবে তার স্ট্যাটাস থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে কোনো প্রজেক্টে তাকে নেয়ার কথা বলে পরে তাকে আর নেয়া হচ্ছে না।