দেশের তুমুল জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি গেয়ে পরিচিতি পান আকবর।
তার এ পরিচিতি পাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান যে মানুষটির, তিনি হলেন দেশের টিভি ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত। যশোরের রিকশাচলক আকবর হয়ে ওঠেন গায়ক আকবর।
আকবরের মৃত্যুর দিনে হানিফ সংকেত জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া। রোববার রাতে হানিফ সংকেত তার ফেসবুকে কিছু কথা লিখেছেন।
হানিফ সংকেত লেখেন, “আজ (রোববার) দুপুরে আকবরের স্ত্রী হঠাৎ ফোন করে অঝোরে কাঁদছিল, বললো- ‘আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গ্যাছে’।’
ফোনটা যখন পান হানিফ সংকেত তখন রংপুরে। পরবর্তী ইত্যাদির জন্য একটি প্রতিবেদন ধারণ করছিলেন।
হানিফ সংকেত লেখেন, ‘ফোন পেয়েই বুঝেছিলাম আকবর আর নেই। কারণ বেশ কিছুদিন থেকেই তার শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিলো না। ক্রমশই অবনতি হচ্ছিলো। নিয়মিত খোঁজ রাখছিলাম। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা হচ্ছিলো। লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিস-সবকিছু মিলিয়ে শারীরিক অবস্থা ছিল অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে।
‘অবশেষে জীবনের কঠিন সত্য মৃত্যু (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তবে এটুকু সান্ত্বনা, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আকবরের চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং আর্থিক সহায়তাও দিয়েছিলেন। এছাড়াও অনেকেই তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
আকবরের সংগীত জীবনের উত্তরণের পথটা সহজ ছিলো না উল্লেখ করে হানিফ সংকেতে লেখেন, ‘২০০৩ সালে যাত্রার পর থেকে অনেকটা একাই ওকে নিয়ে যুদ্ধ করেছি। আকবর খুব বেশি গান করেনি। তবে যে কটা করেছে তা সব প্রজন্মের শ্রোতাদের আবেগ-অনুভূতি ছুঁয়ে গ্যাছে, যা তাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনেক দিন।’
আকবরের এই অকাল মৃত্যুতে হানিফ সংকেত শোকাহত। আকবরের আত্মার শান্তি কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।