অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি আজ ঢাকা তো কাল রাজশাহী। কখনও তানোর, গোদাগাড়ি উপজেলায়, তো কখনও ‘দিনের আলো হিজড়া সংঘ’র নেত্রীদের সঙ্গে। কী করছেন তিনি?
মাহি জানালেন, এসব সৌজন্য সাক্ষাতের অংশ। নিজ এলাকা রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করছেন, কথা বলছেন।
এর কারণ অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি মনোযোগী হচ্ছেন রাজনীতিতে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করার শখ আমার আগে থেকেই। মানুষের জন্য কাজ আগেও করেছি, কিন্তু সেটা অল্প পরিসরে কিছু মানুষের জন্য। সাংগঠনিক উপায়ে কাজ করলে অনেক মানুষের জন্য করা যায়। এটা আরও অনেক আনন্দের।’
মাহিকে অধিকাংশ মানুষই দেখেছেন বড় পর্দায়। নিজ এলাকায় যখন স্থানীয়রা তাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন, তখন মাহিকে মনে করছেন নিজের মানুষ। সবাই মিলে ঘিরে ধরছেন, ছবি তুলতে চাইছেন।
মাহি বলেন, ‘আমি তো তাদের কাছে মেয়ের মতো। তারা আমার কাছে আসবে, ছবি তুলতে চাইবে, সেটা স্বাভাবিক। বিষয়টি যে সব সময় উপভোগ্য হয়, সেটা বলব না। তবে এগুলোতে আমি অভ্যস্ত, ভালোই লাগে।’
রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। নিজ এলাকাতে যখন স্থানীয়রা তাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন, তখন মাহিকে মনে করছেন নিজের মানুষ। সবাই মিলে ঘিরে ধরছেন, ছবি তুলতে চাইছেন। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
সম্প্রতি এ অভিনেত্রী পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের রাজশাহী বিভাগের আহ্বায়কের দায়িত্ব। সে কারণে রাজশাহীতে বেশ কিছু কাজ করার চেষ্টা করছেন তিনি।
সংগঠনটির কেন্দ্রের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পেয়েছেন মাহি। বিভাগীয় দায়িত্বের পাশাপাশি আগামী দিনে কেন্দ্রীয় দায়িত্বও পালন করবেন তিনি।
মাহি বলেন, ‘আপাতত বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করতে চাই। আমার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। আমার নিজের একটি ফাউন্ডেশন আছে, যার নাম স্বপ্ন ফাউন্ডেশন। সেখান থেকেও কাজ চলছে। এবার আমরা শেখ রাসেলের জন্মদিনে কাবাডি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিলাম।’
এসব কাজ করাটা যে খুব সহজ হচ্ছে, তা না। মাহি জানান, চাইলেই সব কাজ করা যায় না। কিছু বাধা থাকে। স্থানীয় রাজনীতিকরা আছেন, যাদের কেউ কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন মাহিকে।
পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মাহি বলেন, ‘কিছুদিন আগে তৃতীয় লিঙ্গের কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা করলাম, কথা বললাম। তারা কীভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে, সেটা নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে।’
রাজনীতিতে মাহিকে নানাভাবে সাহায্য করছেন তার স্বামী রকিব সরকার। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য।
মাহি বলেন, ‘কোন কাজটা কীভাবে করলে ভালো হবে, সেগুলো রকিব আমাকে শেখায়।’ সে তুলনায় অবশ্য মাহি তেমন কোনো সাহায্য করতে পারেন না রকিবকে। বলেন, ‘আমি কোনো সাহায্যই করতে পারি না। আমি যেটা করি, কোথায় সমাবেশ হবে, ওদের এক রকম টি-শার্ট লাগবে, সেটার ডিজাইনটা ঠিক করে দেই।’
স্বামীকে দেখে রাজনীতিতে আরও উৎসাহ পাচ্ছেন বলে জানান মাহি। বলেন, ‘সাংস্কৃতিক সংগঠনে কাজ করছি। আমার ইচ্ছা আছে মূল ধারার রাজনীতিতেও কাজ করার।’
রাজনীতিতে এত সময় দিলে সিনেমার কী হবে? মাহি জানান, তিনি তার রুটকে কখনওই ভুলবেন না। রাজনীতি করবেন, পাশাপাশি অভিনয়ও করবেন।
বৃহস্পতিবার রাতে যখন মাহির সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখন তিনি ঢাকায়, এসেছেন শুটিং করতেই। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইচ্ছা আছে, বছরে দুটি করে কাজ করার। ভালো কাজ করতে চাই। সেটা কীভাবে হবে সময় বলে দেবে।’