বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রেইলারে টাপুরকে দেখে কেঁদে ফেলেন মা

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ২১:০৯

মেয়ের অভিনীত সিনেমার ট্রেইলার দেখে আপ্লুত গোলাম ফরিদা ছন্দা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ট্রেইলার দেখে আমি কেঁদেই ফেলেছি। আমার বাচ্চা, তাকে আমি দেখছি সিনেমার সেন্ট্রাল ক্যারেক্টারে, এটা অনেক আনন্দের।’

কুপিবাতিতে আলো জ্বলল। স্পষ্ট হলো একটি মুখ, হাস্যোজ্জ্বল। যেন অনেক খুশির প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠল দুই সেকেন্ডের একটি দৃশ্যে।

এমন একটি সুন্দর, মিষ্টি, মন ভালো করা হাসির দৃশ্য দিয়ে শুরু হয় দেশান্তর সিনেমার ট্রেইলার। দৃশ্যটি শুধু একটি ট্রেইলারের সূচনা নয়। এই সূচনা সেই মিষ্টি হাসির মেয়েটিরও। সিনেমায় অভিষেক হতে যাচ্ছে তার।

অভিনয়জগতে নতুন আলো জ্বলার এক উপমা দিতেই যেন অভিষিক্ত হতে যাওয়া অভিনেত্রীর ঝলক দিয়ে সিনেমার ট্রেইলার বানিয়েছেন নির্মাতা আশুতোষ সুজন।

মেয়েটির নাম রোদেলা টাপুর। এর আগে তিনি অভিনয় করেছেন নাটকে, হয়েছেন মডেল। তবে সিনেমায় এটিই তার প্রথম কাজ। টাপুরের আরেকটি পরিচয় এরই মধ্যে অনেকেরই জানা। তিনি অভিনেত্রী-পরিচালক দম্পতি গোলাম ফরিদা ছন্দা-সতীর্থ রহমানের মেয়ে।

টাপুর দশম শ্রেণির ছাত্রী, কালিংপংয়ের ড. গ্রাহাম’স হোমস স্কুলে। সোমবার রাতে সে চলে যাচ্ছে স্কুলে, ফিরবে ডিসেম্বরে। তার যাত্রার মধ্যেই কিছু সময় নিউজবাংলার কথা হয় টাপুর ও তার মা ছন্দার সঙ্গে।

দেশান্তর সিনেমায় অভিনেত্রী রোদেলা টাপুর। ছবি: ট্রেইলার থেকে নেয়া

আগামী ১১ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত, নির্মলেন্দু গুণের উপন্যাস অবলম্বনে আশুতোষ সুজন পরিচালিত সিনেমা দেশান্তর। প্রচারের অংশ হিসেবে সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশ করা হয়েছে সিনেমার ট্রেইলার।

সিনেমায় টাপুরের অভিনয় নিয়ে এবং ট্রেইলার প্রকাশের পর বাবা-মা খুবই খুশি বলে জানায় টাপুর। সে বলে, ‘সিনেমার একদম শুরু থেকে বাবা-মা সঙ্গে ছিল।’

সাত বছর বয়সে টাপুর তার বাবার পরিচালনায় অভিনয় করে নাটকে। চতুর্থ শ্রেণিতে থাকতে চলে যায় দেশের বাইরে। ওখান থেকে দেশে আসে মাঝেমধ্যে। এর মধ্যে সুযোগ হলে দাঁড়ায় ক্যামেরার সামনে।

অভিনয়কে ভালোবাসে টাপুর এবং ভবিষ্যতে এ অঙ্গনেই থাকতে চায়, কাজ করতে চায় সে।

মেয়ের অভিনীত সিনেমার ট্রেইলার দেখে আপ্লুত গোলাম ফরিদা ছন্দা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ট্রেইলার দেখে আমি কেঁদেই ফেলেছি। আমার বাচ্চা, তাকে আমি দেখছি সিনেমার সেন্ট্রাল ক্যারেক্টারে, এটা অনেক আনন্দের।’

ছন্দা আরও বলেন, ‘আমরা যখন স্ক্রিপ্টটা শুনলাম, দেখলাম যে ওর বয়সী একটা মেয়ের চরিত্র এবং গল্পটা দেশভাগ বা দেশের গল্প। তখন মনে হলো যে, শুরুটা যদি এমন একটি গল্প বা কাজ দিয়ে শুরু হয় তাহলে ভোলোই হয়।

‘ওর জন্য ভাষাটা একটু কঠিন ছিল, সেটা সে প্র্যাকটিস করে করে আয়ত্তে এনেছে। টাপুর প্রথমেই যেটা করেছে, স্ক্রিপ্টটা পেয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলেছে এবং একরকম মুখস্থ করে ফেলেছে। ওর আগ্রহটা ছিল জন্য আমাদের গ্রুম করতে সহজ হয়েছে।

‘সিনেমার গল্প যে সময়ের, সেই সময়ে তো মেয়েকে অল্প বয়সের বিয়ে দিয়ে দেয়া হতো। স্বামীর সঙ্গে তার রিলেশন কেমন হবে, এক্সপ্রেশন কেমন হবে, এ বিষয়গুলো তাকে বোঝাতে হয়েছে। আমি আর তার বাবা সারাক্ষণ তার সঙ্গে থেকে থেকে বিষয়গুলো বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি।’

ট্রেইলারে আরও অনেক পরিচিত অভিনয়শিল্পী থাকলেও একদম নতুন ইমেজ নিয়ে হাজির হয়েছে টাপুর। টাপুর নিউজবাংলাকে বলে, ‘আমার চরিত্রের জন্য আমি আমার বাবা-মার সাহায্য নিয়েছি। এ ছাড়া রিহার্সালও হয়েছে আমাদের।’

দেশান্তর সিনেমাটি দেশভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত। ট্রেইলারে চরিত্রের কণ্ঠে যে ভাষা শোনা গেছে, সেটি মূলত নেত্রকোণা অঞ্চলের ভাষা। এর জন্য প্র্যাকটিস করতে হয়েছে বলে জানায় টাপুর।

সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, আহমেদ রুবেল, মৌসুমী, ইয়াশ রোহান, শুভাশিষ ভৌমিকসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর