উত্তর আমেরিকার (ডমেস্টিক) বক্স অফিসের একটি হিসাব প্রকাশ করেছে মিডিয়ার বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কমস্কোর। সে তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত ডমেস্টিক বক্স অফিস সংগ্রহ ৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার।
গত বছর অর্থাৎ করোনা পরবর্তিতে একই সময়ে বক্স অফিস সংগ্রহ ছিল ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। করোনার আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত ডমেস্টিক বক্স অফিসে এর পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।
আমেরিকান মিডিয়া কোম্পানি ভ্যারাইটি তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে বক্স অফিস কালেকশনে অগ্রগতির প্রত্যাশা বাড়িয়েছে ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকের কয়েকটি সিনেমা।
যে সিনেমাগুলো নিয়ে সবাই ব্যবসার আশা করছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক অ্যাডাম, অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার, ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরএভার, হ্যালোইন এন্ডস।
মহামারি শুরু হওয়ার আগে সিনেমার ব্যবসা যেমন ছিল, এ চার সিনেমার মাধ্যমে ব্যবসা আবারও তেমন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সিনেমাগুলোর ব্যবসা হতাশও করতে পারে।
কনটেন্ট অ্যানালিটিক্স ফার্ম সিনেলিটিক এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত বক্স অফিসে বড় আয় আসতে পারে। যার মধ্যে জেমস ক্যামেরনের অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার আনতে পারে সবচেয়ে বড় আয়।
ডমেস্টিক বক্স অফিস কালেকশনের তালিকা। ছবি: ভিআইপি+ (কমস্কোরের সৌজন্যে)
ডমেস্টিক বক্স অফিসে গ্রস আয়ে চলতি বছরে সবচেয়ে এগিয়ে টপ গান: ম্যাভরিক। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডমেস্টিক ৭০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার এর সম্ভাব্য ব্যবসা ম্যাভরিকের চেয়েও কম হবে বলে ধারণা করছে সিনেলিটিক।
এর ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিগত কয়েক বছর টানা ভিএফএক্সের মাধ্যমে সুপারহিরো সিনেমাগুলো দেখার কারণে অ্যাভাটার সিনেমায় দর্শকদের মুগ্ধতা কমবে।
ব্ল্যাক অ্যাডাম সিনেমার ইনকাম ৩২৮ মিলিয়ন ডলার এবং ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরএভার এর ইনকাম ৪২৩ মিলিয়ন ডলার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার মধ্যে ব্ল্যাক অ্যাডাম ২১ অক্টোবর মুক্তি পেয়ে প্রথম তিন দিনে দেশে ও দেশের বাইরে মিলিয়ে ইনকাম করেছে ১৪০ মিলিয়ন ডলার।
সিনেলিটিক এর মতে ইউনিভার্সালের হ্যালোউইন এন্ডস এর ডমেস্টিক আয় হতে পারে ১৩০ মিলিয়ন ডলার। ১৪ অক্টোবর মুক্তি পেয়ে সিনেমাটির ডমেস্টিক ইনকাম ৫৫ মিলিয়ন ডলার।
চার হলিউড সিনেমার সম্ভাব্য ডমেস্টিক আয়ের গ্রাফ। ছবি: ভিআইপি+ (সিনেলিটিক এর সৌজন্যে)
সিনেলিটিক ধারণা করছে, চলতি বছরের শেষ ধাপে এ চারটি সিনেমা মুক্তির পর ২০২২ সালে ডমেস্টিক বক্স অফিসের পরিমাণ হবে ৭ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ এবং ২০২২ সালের শ্রম দিবসে সিনেমার টিকিটে ছাড় দেয়ার তথ্য তুলনা করে ভ্যারাইটি জানিয়েছে, ডিজনির শ্যাং-চি অ্যান্ড দ্য লিজেন্ড অফ দ্য টেন রিংস সিনেমাটি ২০২১ সালের শ্রম দিবসের সময় মুক্তির কারণে রেকর্ড পরিমাণ গ্রস ইনকাম করেছিল। কিন্তু এ বছর শ্রম দিবসে নেই কোনো বড় সিনেমার মুক্তি। দর্শকরা টিভি এবং স্ট্রিমিং সাইটগুলোতে ভাগ হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ভ্যারাইটি।
চারটি বড় সিনেমা ২০২২ সালের বক্স অফিসকে গভীর গর্ত থেকে বের করে আনতে পারবে না বলেই শেষ করা হয়েছে ভ্যারাইটির প্রতিবেদনটি।