সিনেমা কতটা ব্যবসা করছে তার চেয়ে প্রেক্ষাগৃহে নিয়মিত সিনেমা মুক্তি বেশি জরুরি বলে মনে করছেন সিনেমার ব্যবসায়ী সংগঠন। পরাণ ও হাওয়া সিনেমার পর সিনেমার ব্যবসা আবারও নিম্নগামী; এ পরিস্থিতিকে বড় করে দেখছেন না প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সব সিনেমা ব্যবসা করবে না। এটা আশা করা ভুল। কিছু সিনেমায় দর্শক আসবে, কিছু সিনেমায় আসবে না এটাই স্বাভাবিক। আশার কথা হচ্ছে সিনেমা নিয়মিতই মুক্তি পাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমা নিয়মিত মুক্তি পেলে আমাদের প্রেক্ষাগৃহগুলো টিকে থাকবে এবং আমাদের বাইরের দেশের সিনেমা প্রয়োজন হবে না। এটাকেই এখন জরুরি মনে করছি।’
পরাণ ১০ জুলাই এবং হওয়া মুক্তি পায় ২৯ জুলাই। এর পর আগস্টের ২৬ এ আসে আশীর্বাদ। যাও পাখি বলো তারে ও হৃদিতা মুক্তি পায় ৭ অক্টোবর, ২৩ সেপ্টেম্বর আসে অপারেশন সুন্দরবন ও বিউটি সার্কাস, ১৪ অক্টোবর রাগী, ২১ অক্টোবর মুক্তি পায় রোহিঙ্গা।
সিনেমাগুলো আলোচনায় থাকলেও ব্যবসা করতে পারেনি আশানুরূপ। পরাণ ও হাওয়ার সঙ্গে তুলনা করলে, সিনেমা দুটির ধারের কাছেও যেতে পারেনি পরের সিনেমাগুলোর ব্যবসা।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরাণ ও হাওয়া সিনেমার পর অনেকে যে সুবাতাসের কথা বলেছিলেন, সেটা এখন সেভাবে বইছে না। সিনেমা কত দিন চললো, হল সংখ্যা বাড়ল কি না, সেগুলো দেখলেই সবাই বুঝতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা সিনেমা দর্শক আছে, সেটা আবারও প্রমাণ হয়েছে পরাণ, হাওয়া দিয়ে। এখন দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে বার বার নিয়ে আসার দায়িত্ব পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পীদের। ভালো ভালো সিনেমা নির্মাণের মাধ্যমে সুবাতাসের ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। এ দায়িত্ব সিনেমা নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের।’
এখন অনেকেই আবার আশা রাখছেন দামাল সিনেমার ওপর। এটি ২৮ অক্টোবর মুক্তি পাবে। পরাণ সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফির নতুন সিনেমা দামাল। অভিনয়ও করেছেন পরাণ সিনেমার জুটি শরিফুল রাজ, মিম।
দামাল সিনেমাটি হয়তো আবারও দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে টানতে পারে বলে আশা করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।