বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্টার সিনেপ্লেক্স কি পারে বক্স অফিস চালু করতে?

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:২২

স্টার সিনেপ্লেক্সের এখন ১৫টি স্ক্রিন। শিগগিরই ঢাকার বাইরে চালু হবে ৩টি স্ক্রিন। তারা চাইলে তাদের এ প্রেক্ষাগৃহ চেইনে প্রদর্শিত হওয়া সিনেমার টিকিট বিক্রির তথ্য দিয়ে চালু করতে পারে বক্স অফিস। সেই স্বক্ষমতা তাদের আছে। তবে বক্স অফিস ধারণা নিয়ে কোনো কাজ তারা এখনও করেনি।

সিনেমার ব্যবসার ক্ষেত্রে স্টার সিনেপ্লেক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে অনেক বছর ধরে। আধুনিক প্রজেকশন সিস্টেম, সুন্দর ভিডিও কোয়ালিটি, সাউন্ড ইফেক্টের মাধ্যমে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাকে আনন্দদায়ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে দর্শকদের সিনেমা দেখার আগ্রহকে বহু গুণে বাড়িয়েছে দেশের আধুনিক এ প্রেক্ষাগৃহ চেইন।

সিনেমা ব্যবসার ক্ষেত্রেও সিনেপ্লেক্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রযোজককে লগ্নিকৃত টাকা ফেরত পাইয়ে দিতে টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে স্বচ্ছতা তৈরি করেছে সিনেপ্লেক্স।

কোনো সিনেমা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে চাইলে অনেক প্রযোজক-পরিচালক তাদের সিনেমা স্টার সিনেপ্লেক্সে কেমন চলছে, সেই উদাহরণ টানছেন। সিনেমা কেমন ব্যবসা করছে তা বোঝাতেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করছেন কেউ কেউ।

পরাণ সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজক তাদের সিনেমাটি মুক্তির পর ব্যবসায়িক সাফল্য বোঝাতে নানা সময় দিয়েছেন স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটি হাউসফুল হওয়ার তথ্য। পাশাপাশি সিঙ্গেল স্ক্রিনেও সিনেমাটি ভালো ব্যবসা করেছে।

একই রকম ঘটনা হাওয়া সিনেমার বেলাতেও। এ সিনেমাটিও ভালো ব্যবসা করেছে। কিন্তু পরাণ ও হাওয়া কত ব্যবসা করেছে? এর পরিমাণ কোনো প্রযোজকই জানাননি। এসব তথ্য জানার জন্য প্রয়োজন একটি বক্স অফিসের।

প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বক্স অফিস এখন নিয়ন্ত্রিত হয় সফটওয়্যারের মধ্যমে। আরও অনেক বিশ্লেষণসহ টিকিট বিক্রির হিসাব থাকে এখানে।

কোনো একটি সিনেমার টিকিট কত বিক্রি হলো, সেখানে থেকে হল মালিক, পরিবেশন, প্রযোজক কত টাকা পাবে তাও খুব সহজেই দেখে ফেলা যায় এসব সফটওয়্যারে।

বাংলাদেশি সিনেমার ইতিহাস-ঐতিহ্য বেশ পুরনো হলেও এখানে এখনও গড়ে ওঠেনি কোনো বক্স অফিস। সিঙ্গেল স্ক্রিনের টিকিট বিক্রিতে এমন প্রযুক্তি বাংলাদেশে দেখা না গেলেও স্টার সিনেপ্লেক্স তাদের টিকিট বিক্রিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে প্রথম থেকেই।

স্টার সিনেপ্লেক্সের এখন ১৫টি স্ক্রিন। শিগগিরই ঢাকার বাইরে চালু হবে ৩টি স্ক্রিন। তারা চাইলে তাদের এ প্রেক্ষাগৃহ চেইনে প্রদর্শিত হওয়া সিনেমার টিকিট বিক্রির তথ্য দিয়ে চালু করতে পারে বক্স অফিস। সেই স্বক্ষমতা তাদের আছে। তবে বক্স অফিস ধারণা নিয়ে কোনো কাজ তারা এখনও করেনি।

শনিবার সন্ধ্যায় স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা পাবলিকলি এসব তথ্য না দিলেও পরিবেশকদের কিন্তু সব তথ্য সরবরাহ করি।’

কিন্তু এতে করে ব্যবসার আসল চিত্র পাওয়া যায় না। কারণ, সিনেমার প্রচারের জন্য পরিবেশক, প্রযোজক, পরিচালক বা শিল্পীরা অনেক সময় আসল তথ্য প্রকাশ করেন না। আবার যে সব সিনেমার ব্যবসা ভালো হয় না, সেসব সিনেমার প্রযোজকরা তাদের সিনেমার খারাপ ব্যবসার তথ্য আরও জানাতে চান না।

এমন অবস্থায় সিনেপ্লেক্স যদি তাদের নিজেদের নেটওয়ার্কিংয়ে থাকা প্রেক্ষাগৃহগুলো নিয়ে বক্স অফিস চালু করে, তাহলে নির্দিষ্ট ওই প্রেক্ষাগৃহগুলোতে সিনেমার ব্যবসার আসল চিত্র পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

মাহবুব জানান, নিজেদের প্রেক্ষাগৃহগুলো নিয়ে যদি বক্স অফিস চালু করতে হয়, তাহলে তাদের ‘কমস্কোর’ নামের সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে।

সেটা সিনেপ্লেক্স করবে কি না জানতে চাইলে মাহবুব বলেন, ‘সেটা তো চিন্তা করিনি। চাইলে এখন করতে পারি।’

কমস্কোর হলো একটি আমেরিকান সংস্থা। যারা মিডিয়ার বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ ও বিশ্লেষণ করে। বক্স অফিস চালু করতে যে ধরনের কাজ করতে হয় সংস্থাটি সেগুলোও করে। সিনেপ্লেক্স যদি সেবাটি নিতে চায়, সে ক্ষেত্রে তাদের বেশ কিছু অর্থ খরচও করতে হবে বলে জানান মাহবুব।

বাংলাদেশের মতো সিনেমা বাজারের জন্য এ কাজ তারা করবেন কিনা তা ভেবে দেখার বিষয় বলে মনে করেন তিনি। যেখানে কনটেন্টের অভাবে অনেক সময় প্রেক্ষাগৃহ বাড়াতে ভাবতে হয়, সেখানে বক্স অফিস গুরুত্বপূর্ণ মনে নাও হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চলচ্চিত্র সাংবাদিক নিউজবাংলাকে জানান, স্টার সিনেপ্লেক্স যদি চায়, তারা নিজেরাই বক্স অফিস চালু করতে পারে। এর জন্য আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার প্রয়োজন নেই। দেশের প্রযোজক সমিতিসহ সিনেমার ব্যবসার সঙ্গে যে পক্ষগুলো জড়িত তাদের সঙ্গে কথা বলেই কাজটি করা সম্ভব।

তিনি আরও জানান, দেশের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। অনুমতি বা কেউ আগ্রহ দেখালে তারা সিস্টেমটি চালু করার জন্য কাজ করতে প্রস্তুত। তবে নাকি হল মালিকসহ কিছু প্রযোজক, সিনেমা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একটি পক্ষ বক্স অফিস পদ্ধতিতে আগ্রহী নন। বিভিন্ন সময় বক্স অফিস নিয়ে আলোচনায় তাদের অনাগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর