রাজধানীর উত্তরা এবং খুলনা শহরে নতুন শাখা খোলার জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজছে আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে তাদের প্রেক্ষাগৃহ চালু হয়ে যাবে। ছয় মাসের মধ্যে কক্সবাজারেও।
দেশে মানসম্মত চলচ্চিত্রের সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রযোজনার পাশাপাশি এবার সিনেমা নির্মাণের কথাও জানিয়েছে সিনেপ্লেক্স। আগামী বছর অন্তত ৪টি সিনেমা নির্মাণ করবে তারা।
আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ স্টার সিনেপ্লেক্সের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীতে এসকেএস টাওয়ারে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে এসব জানিয়েছেন সিনেপ্লেক্স চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান জানান, স্টার সিনেপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হয় পান্থপথ শাখা থেকে, তিনটি স্ক্রিন দিয়ে। এখন সিনেপ্লেক্সের রাজধানীতে ৫টি শাখা রয়েছে।
মাহবুব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা উত্তরাতে সিনেপ্লেক্স করব, সে জন্য জায়গা খুঁজছি। দুটি জায়গা দেখেছি। চট্টগ্রামে আমাদের এক মাসের মধ্যে প্রেক্ষাগৃহ চালু হয়ে যাবে, কক্সবাজারে চালু হবে ছয় মাসের মধ্যে। আমরা খুলনাতেও ভালো জায়গা খুঁজছি।’
উত্তরায় সিনেপ্লেক্স হয়ে গেলে রাজধানীর মধ্যে আর কোনো প্রেক্ষাগৃহ করার পরিকল্পনা করবে না কর্তৃপক্ষ। এখন তাদের লক্ষ্য ঢাকার বাইরে সিনেপ্লেক্সের সংখ্যা বাড়ানো।
মাহবুব এও জানান, দেশে ভালো কনটেন্টের অভাব রয়েছে। যার কারণে প্রেক্ষাগৃহ বাড়ানো অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।
দেশে মানসম্মত কনটেন্ট বাড়ানোর জন্য প্রযোজনাও করেছেন মাহবুব রহমান। শো মোশন লিমিটেডের ব্যানারে ন ডরাই নামের একটি সিনেমা প্রযোজনা করেছেন তিনি। পরিকল্পনা করছেন নতুন আরও চারটি সিনেমা নির্মাণের।
মাহবুব বলেন, ‘আমি চারটি সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। এর সবগুলোরই চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। আগামী বছরে চারটি না পারলেও তিনটি সিনেমা দর্শকের সামনে আনতে চাই।’
এসব ঘোষণা আমন্ত্রিত অতিথিদের আরও আনন্দিত করে তোলে। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী, বাঁধন, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সাইমন, রাফসান সাবাবসহ অনেকে।
আয়োজনের একপর্যায়ে মুক্তি প্রতীক্ষিত দামাল সিনেমার শিল্পী কলাকুশলীরা দল বেঁধে ফুটবল হাতে চলে আসেন। এটি ছিল তাদের প্রচারের অংশ। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২৮ অক্টোবর।