শুক্রবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অপারেশন সুন্দরবন ও বিউটি সার্কাস। মুক্তির দিন সকালে স্টার সিনেপ্লেক্সের পান্থপথ শাখায় গিয়েছিলেন বিউটি সার্কাস সিনেমার মূল চরিত্রের অভিনেত্রী জয়া আহসান।
সেখানে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, কাজ শেষ করে সাধারণত যখন দর্শকরা সিনেমা দেখতে আসতে পছন্দ করেন অর্থাৎ সন্ধ্যায় বিউটি সার্কাসের কোনো শো নেই। অনেকেই নাকি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ বা আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন জয়ার কাছে।
স্টার সিনেপ্লেক্সের ফেসবুক পেজে শো টাইমের যে তথ্য দেয়া হয়েছে, তা যাচাই করে জয়ার আক্ষেপের সত্যতা পাওয়া যায়।
সিনেপ্লেক্সের ফেসবুক পেজে দেয়া তথ্য অনুযায়ী অপারেশন সুন্দরবন পান্থপথ শাখায় ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরে ১ থেকে ৩ নম্বর হলে শো রয়েছে ১টা ৫০, ৭টা ১৫ মিনিটে। আর ভিআইপি হলের শো টাইম ১০টা ৪৫, ১টা ৪০, ৪টা ৩৫, ৭টা ৩০ মিনিট।
আর সিনেপ্লেক্সের পান্থপথ শাখায় ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর বিউটি সার্কাস সিনেমার শো টাইম ১১টা ১৫, ৪টা ৫০ মিনিট।
অপারেশন সুন্দরবন (বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর) ২৪ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ১১টা, ৪টা ১৫, ৭টা ১৫ মিনিট।
এস কে এস টাওয়ার শাখায় অপারেশন সুন্দরবন ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর (স্টার প্রিমিয়াম) ১০টা ৪৫, ১টা ৪০, ৪টা ৩৫, ৭টা ৩০ মিনিট।
সনি স্কয়ারে (হল ১ থেকে ৩) ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর অপারেশন সুন্দরবন চলবে ১১টা, ১টা ৪০, ৪টা ৪০, ৭টা ৪৫ মিনিটে।
সীমান্ত সম্ভারে (স্টার প্রিমিয়াম) ১০টা ৫০, ১টা ৪৫, ৪টা ৪০, ৭টা ৩৫ মিনিটে দেখা যাবে সিনেমা অপারেশন সুন্দরবন।
বিউটি সার্কাস এস কে এস টাওয়ারে (২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর) ১১টা, ৪টা ২০, সনি স্কয়ারে (হল ১ থেকে ৩) ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ১১টা ১০, ৫টায়, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে ২৪ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ১টা ৫০ মিনিটে দেখা যাবে। আর সীমান্ত সম্ভারে সিনেমাটির কোনো শো রাখা হয়নি।
যাচাই করে দেখা যায়, সিনেপ্লেক্সের পাঁচটি শাখার কোনোটিতেই সন্ধ্যায় অর্থাৎ সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে-পরে কোনো শো নেই বিউটি সার্কাসের।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার বিকেলে নিউজবাংলা কথা বলে স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শো টাইম নির্ধারণ করে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব পলিসি এবং পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শো টাইম নির্ধারণ করা হয়।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘শো টাইম নির্ধারণে নিজস্ব পলিসি ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগালেও দর্শকদের চাহিদার ওপর আর কিছু নেই। যখন যে সিনেমা দেখতে দর্শকদের চাহিদা থাকে, আমরা সেই সিনেমার শো বাড়াই। এমন উদাহরণ অনেক আছে সিনেপ্লেক্সের।’
শুক্রবার জয়া আহসানের দেয়া বক্তব্য শুনেছেন বলে উল্লেখ করে মেজবাহ জানান, শো টাইমন এখন এমন আছে, এটা পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে। সবই দর্শকদের ওপর নির্ভর করছে।
পরাণ ও দিন- দ্য ডে সিনেমার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘পরাণ সিনেমার শো প্রথম সপ্তাহে ছিল ৮টি আর দিন- দ্য ডে সিনেমার শো ছিল ১৯টি। পরে এ চিত্র কেমন হয়েছে, সেটি দর্শকদের সবার জানা।’
সন্ধ্যা ৭টার আগে-পরে কোনো শো কেন রাখা হয়নি জানতে চাইলে মেজবাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হলিউড সিনেমার শো ড্রপ করে দিয়ে আমরা বাংলা সিনেমা চালিয়েছি। দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা সিনেমার শো বাড়িয়েছি আমরা। সে রকম পরিবেশ তৈরি হলে সিনেপ্লেক্স শো বাড়াতে বাধ্য।’
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শুক্র ও শনিবার স্টার সিনেপ্লেক্সের পান্থপথ শাখায় দুটি সিনেমারই একটি-দুটি শোতে দর্শক সমাগম একটু বেশি। অধিকাংশ শোতেই নেই আশানুরূপ দর্শক।