বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিনোদন, ফান, ফুর্তি, প্রতিশোধের গল্প 'বিউটি সার্কাস'

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:৪৩

জয়া আহসান বলেন, ‘বিউটি সার্কাস সিনেমায় আমার জন্য অসাধারণ একটি চরিত্র লিখেছে সে, আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি কোনো স্টান্ট ম্যান ব্যবহার করিনি শুটিংয়ে। অনেক ঝুঁকি নিয়েছি, আবার মজাও ছিল। কারণ এরকম কিছু আর পাব কি না কে জানে। আমিসহ সবাই কষ্ট করেছে।’

সিনেমার নির্মাতা হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন মাহমুদ দিদার। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সরকারি অনুদানে নির্মিত বিউটি সার্কাস সিনেমা।

বিষয়টি জানান দিতেই শনিবার রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।

অনুষ্ঠানে মাহমুদ দিদার বলেন, ‘এই সংবাদ সম্মেলন আমার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ, আমার সিনেমা প্রথমবারেরর মতো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আমার সামনে বসে আছেন জয়া আহসান, আমার মেন্টর। আমার বিগত নাট্য নির্মাতা জীবনে তার দার্শনিক ঋণ রয়েছে। বিউটি সার্কাসের অভিনেত্রী ছাড়াও সিনেমাটির ন্যারেটিভ গঠনের সঙ্গেও তিনি জড়িয়ে আছেন।

‘বিনোদন, ঐতিহ্য এবং সিনেমাটিক ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর জন্য সার্কাসের প্রেক্ষাপটটাই আমার সবচেয়ে ভালো মনে হয়েছে, তাই এ প্লটটি আমার বেছে নেয়া।’

দিদার জানান, বিউটি সার্কাস বিনোদন, ফান, ফুর্তি, প্রতিশোধের গল্প নিয়ে তৈরি।

অনুদানের সিনেমা হলেই অনেকে একটা টাইপড সিনেমা মনে করেন। নির্মাতা বলেন, ‘সেই ট্যাবু ভেঙে ফেলতে চাই।’

সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে সিনেমার একটি গান। চিরকুট ব্যান্ডের নিবেদন গানটি গেয়েছের শারমিন সুলতানা সুমি। গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন পাভেল আরিন।

গানটি তৈরির পেছনের গল্প বলতে গিয়ে চিরকুটের সুমি বলেন, ‘সংগ্রামের বিজয় দেখতে পাচ্ছি। সাড়ে তিন বছর আগে দিদার এসেছিল চিরকুটের কাছে। আমি এক রাতেই মনে হয় গানটি লিখেছিলাম। দিদার প্রথম লাইন শুনে খুব অ্যাপ্রিসিয়েট করেছিল।

‘জয়া আপার স্ট্রাগল দেখেছি। আমাদের এখানে নারীদের একটু বেশি সংগ্রাম করতে হয়। জয়া আপার নাম শুনে আমি আরও আগ্রহী হই। তিনি আমার অনুপ্রেরণা, আমার মনে হয় তিনি সবার অনুপ্ররণা।’

সুমি গানটি বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই গেয়ে শোনান। তার সঙ্গে কণ্ঠ মেলান জয়া আহসান, ফেরদৌস আহমেদ ও এ বি এম সুমন।

সিনেমায় রংলাল চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ বি এম সুমন। তিনি বলেন, ‘চরিত্রটির জন্য পাগলামি করেছি। পরিচালক আমাকে এটা বিশ্বাস করিয়েছে। চুল ধুতে দেয়নি ৯ দিন, সরিষার তেল মুখে মেখে রোদে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। রিয়েল লোকেশন আছে, এটা বড় বাজেটের সিনেমাতেও অনেক সময় সম্ভব না। আমি দেখেছি জয়া আপার জ্বর, তারপরও তিনি শুটিংয়ের জন্য দুই ঘণ্টা ভিজলেন। এসব ডেডিকেশন দেখেছি কাছ থেকে।’

ফেরদৌস বলেন, ‘বিউটির প্রেমে কে পড়েনি। এ ধরনের চরিত্র আমি কখনও করিনি। আমি পজিটিভভাবে আসতে পছন্দ করি। কিন্তু এখানে এটা হয়নি। পরিচালক আমাকে কনভিন্স করেছে। অভিনয়ের ক্ষুধা থেকেই চরিত্রটি করা।

‘যাত্রার, সার্কাসের মেয়েদের সস্তা মনে করা হয়। কিন্তু তাদেরও যে ব্যক্তিত্ব আছে সেটা মনে করা হয় না। তাদের কত রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলতে হয় সেটা এ সিনেমায় আছে। জয়ার চরিত্রটি সার্কাসের মেয়ের। সে যে এলাকায় আসে, আমি সেই এলাকার নবাব। কিন্তু আমি আমার সমস্ত শৌর্য্য দিয়েও তাকে আমি পাইনি। তার ব্যক্তিত্বের কাছে আমি হার মানি।’

সবার শেষে কথা বলেন জয়া আহসান। তিনি বলেন, ‘দেড় বছর পর আমার অভিনীত সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। ইমোশনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিউটি সার্কাস। ফিকশন থেকেই দেখেছি মাহমুদ দিদারের আইডিয়া খুব ভালো হয়।

‘বিউটি সার্কাস সিনেমায় আমার জন্য অসাধারণ একটি চরিত্র লিখেছে সে, আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি কোনো স্টান্ট ম্যান ব্যবহার করিনি শুটিংয়ে। অনেক ঝুঁকি নিয়েছি, আবার মজাও ছিল। কারণ এরকম কিছু আর পাব কি না কে জানে। আমিসহ সবাই কষ্ট করেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর