বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘৭ মার্চের ভাষণ অভিনয় করে দেখালে অনেকের কষ্ট হয়’

  •    
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:০৭

আমি যেটা বুঝি, আমার যেটা মনে হয়েছে, ৭ মার্চের ভাষণে জাতির পিতাকে ওভাবে দেখার পর, সেটাকে অভিনয় করে দেখালে, এটা নিতে অনেকের কষ্ট হয়। এটা হলো সমস্যাটা: শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত বায়োপিকের ট্রেইলার নিয়ে নানা সমালোচনা হলেও জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা মনে করেন, এটির মান যথেষ্ট ভালো হয়েছে।

তিনি বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ যারা দেখেছেন, তাদের পক্ষে সেদিনের সেই ঘটনার অভিনয়ের দৃশ্য মানা কঠিন। একে ইতিহাসের প্রামাণ্যচিত্রের বদলে সিনেমা হিসেবে দেখার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। ট্রেইলারটি ভালো হয়েছে বলেই ফ্রান্সের বিখ্যাত কান উৎসবে এটির প্রদর্শন হয়েছে বলেও মনে করেন শেখ হাসিনা।

গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত সফর নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য নানা বিষয়ে পাশাপাশি শেখ হাসিনা বায়োপিকের ট্রেইলার নিয়েও প্রশ্নের মুখোমুখি হন।

একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল এমন: ‘নির্মিত বায়োপিক এর ট্রেইলার প্রকাশের পর কিছু আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, এটা আপনি দেখেছেন কি না এবং সেটি কবে মুক্তি পেতে পারে।’

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত বায়োপিকটির নাম মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন। ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল এর পরিচালনা করছেন। এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভ। ছবি: সংগৃহীত

গত ১৯ মে এই সিনেমার ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ট্রেইলার প্রকাশের পর নানা সমালোচনা হয়। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা আরেফিন শুভ বঙ্গবন্ধুর চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পারেননি বলে অনেকেই বলছেন। আবার ৭ মার্চের ভাষণের যে স্টেজ নির্মাণ করা হয়েছে, তাতে কিছু ভুল আছে। এর এনিমেশন বা ভিএফএক্সের দুর্বলতার বিষয়টিও মানতে পারছেন না বহু জন।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একে একটি সিনেমা হিসেবে দেখার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমি যেটা বুঝি, আমার যেটা মনে হয়েছে, ৭ মার্চের ভাষণে জাতির পিতাকে ওভাবে দেখার পর, সেটাকে অভিনয় করে দেখালে, এটা নিতে অনেকের কষ্ট হয়। এটা হলো সমস্যাটা।’

তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে যখন সিনেমা হবে, তখন কারও না কারও তো অভিনয় করতেই হবে, সেভাবে করার চেষ্টা করতে হবে এবং আমি তো মনে করি যেটুকু করেছে চমৎকার করেছে। আমাদের ভেতরে যিনি আছেন তাকে তো আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব না। ওটা ওভাবে নিয়ে আসাও ঠিক না। কিন্তু একটা সিনেমা যখন, এটা সিনেমা হিসেবেই দেখতে হবে।’

অভিনয় শিল্পীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘যিনি অভিনয় করেছেন তাকে কিন্তু অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। একটা চরিত্র করতে গেলে সেই চরিত্রটাকে গ্রহণ করা, সেই সেন্টিমেন্টকে তৈরি করা কঠিন কাজ। আর সেটা যদি হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্র হয়, তাহলে তো আরও কঠিন। তারপরও আমি বলব এখানে যারা অভিনয় করেছেন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। অনেক অভিনেতা কিন্তু এটা পারে না।’

ট্রেইলারটির মান নিয়েও প্রশ্ন নেই বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ের। তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় বলতে পারি, ট্রেলারটি যদি গ্রহণযোগ্য না হতো, তাহলে ফ্রান্সের কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এটা কোনোদিনই গ্রহণ করত না।

‘এটার কোয়ালিটি নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে, কিন্তু এ ব্যাপারেও আপনাদের বিবেচনা করতে হবে যে, কান ফেস্টিভ্যাল কিন্তু যা তা গ্রহণ করে না বা সেটা তারা সেখানে দেখাতে দেয় না।’

সিনেমাটি ভালো সময় দেখে সিনেমা মুক্তি দেয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘করোনার কারণে শুটিং অনেক দিন বন্ধ ছিল, করতে পারেনি। আসলে সিনেমার মূল সিনগুলো ঢাকাতেই হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনার কারণে তা আর হয়নি। পরে তো মুম্বাইতে শুটিং হয়েছে, ঢাকাতেও হয়ে গেছে।

‘হওয়ার পরে এডিটিং চলছে, যেটা সাধারণত হয়ে থাকে। কানে যাওয়ার আগে ট্রেইলার আমাকে পাঠানো হয়েছে, আমি দেখেছি। দেখার পর যেখানে যেখানে সংশোধন করতে বলা হয়েছিল, সেগুলো ওকে করে দেয়ার পরই সেটা গিয়েছে। এডিটিং শেষ হলে আমরা একটা ভালো সময় চিন্তা করছি, সেভাবেই এটা আসবে।’

এ বিভাগের আরো খবর