বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেন্সর বোর্ড ছিল, থাকতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৫৭

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি এমন একটা সিনেমা বানায়, যেটা আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এবং সেটা যদি প্রকৃত ঘটনাকে উপস্থাপন না করে সত্য ঘটনার অবলম্বনে হয়, যদি পুরো সত্য ঘটনা না আসে, তাহলে তো সেন্সর বোর্ড প্রশ্ন রাখবেই।’

চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ড থাকা উচিত কি না মর্মে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, তা উড়িয়ে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর চলচ্চিত্র ‘শনিবার বিকেল’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা বছরের পর বছর সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকায় সেন্সর বোর্ডের প্রয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পীদের সঙ্গে এক বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সিনেমা শিল্প, সেখানেও সেন্সর বোর্ড আছে। প্রত্যেকটা রাজ্যের সিনেমার জন্য সেন্সর বোর্ড আছে। এটা থাকতে হবে। যারা বলে থাকার দরকার নাই, তারা বুঝে বলে নাকি না বুঝে বলে সেটি আমার প্রশ্ন। পৃথিবীর সব জায়গায় এটা আছে।

‘কেউ যদি এমন একটা সিনেমা বানায়, যেটা আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এবং সেটা যদি প্রকৃত ঘটনাকে উপস্থাপন না করে সত্য ঘটনার অবলম্বনে হয়, যদি পুরো সত্য ঘটনা না আসে, তাহলে তো সেন্সর বোর্ড প্রশ্ন রাখবেই।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের জন্মের পর থেকে সেন্সর বোর্ড ছিল। সেন্সর বোর্ড থাকতে হবে। বোর্ড যাতে অহেতুক কিছু না করে, সেটি আমি নজরে রাখি। যেগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেগুলো আমরা দেখেছি, সেখানে আমরা যা পেয়েছি সেটা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’

বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদানে জোরসরকারি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমাকে ভিন্নধর্মী সিনেমার চেয়ে এগিয়ে রাখার পক্ষে নিজের মত জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আশার কথা হলো চলচ্চিত্র শিল্প এখন ভালোর দিকে যাচ্ছে। আমরা অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ করেছি। আগে যেখানে ১০ কোটি টাকা দেয়া হতো এখন দেয়া হয় ২০ কোটি টাকা। আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা আমার কাছে আসেন। তখন তারা আমাকে বললেন, অনুদান যেগুলো দেয়া হয়, সেগুলোর অনেকগুলো হলে মুক্তি পায় না। অনেক আর্ট ফিল্মের জন্য অনুদান দেয়া হয়, তারা সেগুলো বানায় না।

‘আমি তখন বিষয়টির গভীরে গেলাম এবং অনুধাবন করলাম আসলে অনেক ছবি বানানো হয়নি। সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারপর বাণিজ্যিক ছবির ক্ষেত্রেও যেগুলো বানানো হয়েছে, সেগুলো হলে রিলিজ দেয়া হয়নি, কাউকে স্বত্ব বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা নতুন নীতিমালা করেছি, কমপক্ষে ১০টি হলে মুক্তি দিতে হবে, পরে এটি বাড়িয়ে ২০টি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১ কোটি টাকার নিচে কোনো সিনেমা হয় না। ভালো সিনেমা বানাতে মিনিমাম ২ কোটি লাগে। সে ক্ষেত্রে তারা পরামর্শ দিলেন অনুদান যেন বাণিজ্যিক ছবিতে দেয়া হয়। আমরা এর পর থেকে বাণিজ্যিক ছবিতে জোর দিই। আর্ট ফিল্মেও আমরা দিচ্ছি।

‘ডকুমেন্টারিতেও দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্যিকে অনুদান বাড়ানোর ওপর আমরা জোর দিয়েছি, সেটার সুফলও আমরা পাচ্ছি। ৬৫টিতে নেমে এসেছিল হল, সেখান থেকে ২১০টি হয়েছে। আর এক বছরের আরও ১০০ বাড়বে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল করেছেন। সেখান থেকে ঋণ নেয়ার জন্য অনেক দরখাস্ত ইতোমধ্যে জমা পড়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে। সিনেপ্লেক্স হচ্ছে।

‘এটা অনুদান নয়, ব্যাংকিং চ্যানেলে ঋণ দেয়া হচ্ছে। যখন করোনা ছিল, তখন ভয়ে কেউ দরখাস্তই করেনি। কারণ তখন হল বন্ধ। পরে করোনা কমে আসার পর দরখাস্ত শুরু করল। তারপর ব্যাংকগুলোকে আমাদের বোঝাতে হয়েছে। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বসেছি। এরপর দরখাস্ত বেড়েছে। এখন আস্তে আস্তে ডিসপার্স হচ্ছে। এখন যেহেতু ভালো সিনেমা হচ্ছে, তাই দরখাস্ত বাড়ছে। এটা একটা রিভলভিং ফান্ড। এটা দিয়ে অনেক হল রেনোভেট করা যাবে, নতুন হল করা যাবে। প্রথমে ৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছিল, আমরা দেখেছি এতে কোয়ালিটি হল হয় না। এ জন্য টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে সেটা ১০ কোটি করা হয়েছে।’

অনুদান বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু আর্ট ফিল্মে অনুদান দেব আর মেইনস্ট্রিমে দেব না… অনুদান তো এ জন্য নয়। অনুদান তো সব ধরনের সিনেমার জন্য। সব ধরনের মধ্যে মূলধারা তো হচ্ছে বাণিজ্যিক ছবি, এটা তো সবাইকে স্বীকার করতে হবে।

‘যারা চলচ্চিত্রের অনুদান নিয়ে নির্মাণ করেননি, তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রথমে নোটিশ দেয়া হয়, এরপর যখন কমপ্লাই করে না, তখন মামলা করা হয়। এটার প্রেক্ষিতে অনেকে টাকা ফেরত দিয়েছে এবং দিচ্ছে, যারা করতে পারেনি। আবার অনেকে বানাচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর