গরুর মাংস নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বলিউড তারকা দম্পতি রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট এবং তাদের অভিনীত সিনেমার পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনের বিখ্যাত মহাকালেশ্বর মন্দিরে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তারা।
বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১১ সালে গরুর মাংস নিয়ে রণবীর কাপুর যে মন্তব্য করেছিলেন, তার জেরে মঙ্গলবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তিনজনকে। ওই বছর রকস্টার সিনেমার প্রচারের সময় অভিনেতা বলেছিলেন, গরুর মাংস তার পছন্দের।
রণবীর, আলিয়া ও অয়ন তাদের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ব্রহ্মাস্ত্রর জন্য দেবতা শিবের আশীর্বাদ নিতে উজ্জয়িনে গিয়েছিলেন। মন্দিরে যাওয়ার সময় কট্টর হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের সদস্যরা অভিনেতার ১১ বছর আগের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন। বিক্ষোভের রেশ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ রণবীরের পুরোনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও প্রচার করেন। যেখানে অভিনেতাকে একবার বলতে শোনা যায়, তিনি গরুর মাংস খেতে পছন্দ করেন।
কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোপে আছেন রণবীর। ট্রলাররা টুইটারে হ্যাশট্যাগ ‘বয়কট ব্রহ্মাস্ত্র’ ট্রেন্ড চালু করেছেন। সেই সঙ্গে তারা দর্শকদের সিনেমাটি না দেখার অনুরোধ করছেন।
সিনেমাটির প্রতিবাদে বজরং দলের সদস্যরা মহাকালেশ্বর মন্দিরে কালো পতাকা ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ান।
রণবীর ও আলিয়াকে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। শুধু অয়নই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন।
বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে স্থানীয় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ওই সময় নিয়ম ভাঙার কারণে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
বজরং দলের সমন্বয়ক অঙ্কিত জিন্দাল বলেন, ‘আমরা আলিয়া ও রণবীরকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেব না। তিনি (রণবীর) বলেছিলেন, গরুর মাংস খাওয়া ভালো বিষয়। এই চিন্তা নিয়ে বাবা মহাকাল মন্দিরে কাউকে প্রবেশ করতে দেবে না বজরং দল।
‘সারা দেশ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। আজ তাকে আমরা মন্দিরে প্রবেশ করতে দিতাম না। আমরা কালো পতাকা নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলাম, কিন্তু পুলিশ আমাদের কর্মীদের মারধর শুরু করেছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।’
ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ওপি মিশ্র বলেন, ‘মন্দিরে ভিআইপি মুভমেন্টের কারণে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম এবং বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেডের বাইরে থাকতে বলা হয়েছিল।
‘বজরং দলের এক সদস্য নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙায় আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল।’