প্রায় দুমাস আগে সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত কুমার মোদি।
সে সময় ললিত তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ছবিতে যুক্ত করেন সুস্মিতার সঙ্গে যৌথ একটি ছবি। সেখানে বায়োতেও করেছিলেন পরিবর্তন। লিখেছিলেন, ‘ফাউন্ডার অ্যাটআইপিএলটিটুয়েন্টি, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। ফাইনালি স্টারটিং অ্যা নিউ লাইফ উইথ মাই পার্টনার ইন ক্রাইম। মাই লাভ সুস্মিতা সেন।’
কিন্তু হঠাৎ করেই প্রোফাইলের ছবি ও বায়ো থেকে সুস্মিতার ছবি সরিয়ে ফেলেছেন ললিত। আর এই পরিবর্তন দেখেই শুরু হয়েছে তাদের সম্পর্ক ভাঙার গুঞ্জন।
প্রোফাইল ছবি ও বায়ো পরিবর্তনের আগে-পরে ললিত মোদির ইনস্টাগ্রাম (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
যদিও ইনস্টাগ্রামের ওয়ালে ও টুইটারে এখনও সুস্মিতার সঙ্গে ছবি রয়েছে ললিতের। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের ঘোষণা দেয়া ললিতের সেই টুইটার পোস্টটি এখনও রয়েছে।
দুজনের যৌথ কয়েকটি ছবি দিয়ে গত ১৪ জুলাই করা সেই টুইটে ললিত লেখেন, ‘মালদ্বীপ ভ্রমণের পরে সদ্য লন্ডনে ফিরলাম। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালাম। আর ‘বেটার হাফ’ সুস্মিতার কথা তো আলাদা করে বলতেই হবে। অবশেষে একটি নতুন জীবনের শুরু।’
প্রথম টুইটে সুস্মিতাকে ‘বেটার হাফ’ বলে উল্লেখ করলেও পরের টুইটে বিষয়টি পরিষ্কার করেন ললিত মোদি। ফের তিনটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘বিষয়টি স্পষ্ট করে দিতে চাই, আমরা কেবল একে অপরের সঙ্গে ডেট করছি, বিয়ে করিনি। তবে একদিন সেটাও হবে।’
তবে ললিতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কখনই পরিষ্কার করে কিছু বলেননি সুস্মিতা।
ললিতের সেই টুইটের পর নেটিজেনদের অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন তাদের সম্পর্ক নিয়ে। কেউ বলছেন, ললিতের টাকার জন্য তার সঙ্গে প্রেম করছেন সুস্মিতা। এ নিয়ে অভিনেত্রীকে ‘গোল্ডডিগার’ আখ্যা দিয়েছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ।
সেসবের কড়া জবাব দিয়ে ১৭ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ এক পোস্ট দেন অভিনেত্রী।
সেই পোস্টের একাংশে তিনি লেখেন, ‘আমি স্বর্ণের চেয়ে দামি কিছু পছন্দ করি। বরাবরই হীরকখণ্ডের প্রতি আমার দুর্বলতা রয়েছে এবং আমি নিজেই সেগুলো কিনতে পারি।’
এর আগে ১৫ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট দেন সুস্মিতা। দুই মেয়ের সঙ্গে একটা সেলফি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমি খুব সুখী। বিয়ে হয়নি...আংটিও নেই। নিঃশর্ত ভালোবাসায় ঘিরে আছি। যথেষ্ট স্পষ্ট করে দিয়েছি। এবার জীবন এবং কাজে ফিরি। সব সময় আমার খুশি ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আর যারা করেন না, তাদেরও.. সবাইকে ভালোবাসি।’