২৪ বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি সড়ক দুর্ঘটনা। যাতে আহত হন মাকসুদ হোসাইনের শাশুড়ি ও স্ত্রী ত্রিলোরা খান। তার পর থেকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হয় ত্রিলোরার মায়ের। স্বাভাবিকভাবেই তিনি খুব নির্ভর করতে শুরু করেন তার মেয়ে ও স্বামীর ওপর।
২০১৯ সালে মারা যান মাকসুদ হোসাইনের শ্বশুর। এরপর শাশুড়ির নির্ভরতা পুরোপুরি চলে যায় ত্রিলোরার ওপর। মাকে ভালো রাখতে ত্রিলোরার নিয়মিত যে কাজ, সেগুলো দেখেই নতুন গল্পের অনুপ্রেরণা পান মাকসুদ। তৈরি হয় গল্প সাফা।
সাফা প্রজেক্টটি বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে বাংলাদেশের একমাত্র প্রজেক্ট হিসেবে অফিসিয়ালি নির্বাচিত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫টি দেশের ২৯টি প্রজেক্টের নাম প্রকাশ করা হয়। ৯ থেকে ১১ অক্টোবরে সেখানে অংশ নিতে যাচ্ছেন মাকসুদ।
শনিবার বিকেলে মাকসুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ গল্পের কো রাইটার আমার স্ত্রী ত্রিলোরা খান। তার বাবা মারা যাওয়ার পর তার যে স্ট্রাগল সেখান থেকেই সাফা গল্পের জন্ম।
‘এ গল্পে আমরা লোয়ার মিডল ক্লাসের এক নারীর গল্প বলতে চেয়েছি, যার এ শহরে কোনো হেল্প চাওয়ার সুযোগ বা জায়গা নাই। কিন্তু নিজের কাজের পাশাপাশি তার মা'কে তার বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’
এরইমধ্যে সাফা ফিল্ম বাজার ইন্ডিয়া কো-প্রোডাকশন মার্কেটে অফিসিয়ালি ইনভাইটেড ছিল ২০২১ সালে।
এ ছাড়া কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের কো-প্রোডাকশন ডে বলে একটা ইভেন্ট আছে, সেখানেও অফিসিয়ালি ইনভাইটেড ছিল সাফা।
মকসুদ জানান, এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে মাকসুদের লক্ষ্য থাকবে পোস্ট প্রোডাকশন, ডিস্ট্রিবিউশনের মতো বিষয়গুলোর ভ্যালু অ্যাড যেন হয় সাফা প্রজেক্টে।
এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে সিনেমাটি নির্বাচিত না হলে অক্টোবরেই এর শুটিং শুরু হত বলে জানান মাকসুদ। এখন তাদের শুটিংয়ের পরিকল্পনা ডিসেম্বরে। মাকসুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রোডাকশন কস্ট রেডি আছে। অভিনয় শিল্পীও লক করা আছে।’
মাকসুদের জন্ম বিদেশে, তার বেড়ে ওঠাও বিদেশে। তবে এখন দেশেই থাকছেন এবং নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আছেন।