প্রযোজক হিসেবে জয়া আহসান তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সি-তে সিনেমা থেকে দ্বিতীয় যে প্রোডাকশনের নাম ঘোষণা করেছিলেন, সেটা ফুড়ুৎ। ২০১৮ সালে এর ঘোষণা দেন তিনি। কাজটি এখনও শুরু হয়নি বলেই জানিয়ে আসছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।
এর মধ্যে কোভিড ছাড়াও সিনেমার অভিনয়েই বেশি ব্যস্ত সময় কেটেছে জয়ার। দেশে কম হলেও কলাকাতায় অনেকগুলো সিনেমার কাজ করেছেন তিনি, সেগুলোর কিছু মুক্তিও পেয়েছে।
তবে এত কিছুর মধ্যেও যে তিনি ফুড়ুৎ-এর কাজ করতে চাননি বা করেননি, তা কিন্তু নয়। যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি তিনি করতে চেয়ে ২০২০ সালে আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)।
যৌথ প্রযোজনার সিনেমা করতে গেলে সিনেমাটির চিত্রনাট্যসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জমা দিতে হয় এফডিসির উৎপাদন বিভাগে। সেখান থেকেই এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে নিউজবাংলাকে।
উৎপাদন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যৌথ প্রযোজনায় ফুড়ুৎ নির্মাণ করার জন্য আবেদন করার পর তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে তিন মাস সময় বাড়িয়েও নিয়েছিলেন জয়া। বর্ধিত সময় গিয়ে দাঁড়ায় ৩১ মার্চ, ২০২০।
সিনেমায় অভিনয় করার জন্য কলকাতার মৌসুমী চ্যাটার্জি, সাদিয়া, সোহিনী সেনগুপ্ত, বিপ্লব ব্যানার্জি, অনিন্দ্য পুলক ব্যানার্জি ও পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম পাওয়া গেছে সেই আবেদনে।
আর বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন কামরুল হাসান ও ফজলুর রহমান বাবুর নাম। তবে এফডিসির উৎপাদন বিভাগ সিনেমাটির পরিচালক বা বিদেশি প্রযোজকের কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
বিষয়টি নিয়ে জয়া আহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রোজার ঈদের আগে জয়া অভিনীত ইরানি সিনেমা ফেরেশতে এর সংবাদ সম্মেলনে ফুড়ুৎ নিয়ে জানতে চাইলে জয়া জানিয়েছিলেন, সিনেমাটি নিয়ে দেয়ার মতো কোনো তথ্য নেই।
জয়া আহসান প্রযোজিত প্রথম সিনেমার নাম দেবী। ফুড়ুৎ ছাড়াও আরও দুটি সিনেমায় প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত জয়া। যার একটির পরিচালক পিপলু আর খান। অন্যটির নাম রইদ, পরিচালনা করবেন মেজবাউর রহমান সুমন।
পিপলু আর খান জানিয়েছেন, আগস্টেই সিনেমাটির ফার্স্ট লুক আসতে পারে। এখন পর্যন্ত ডিসেম্বরে সিনেমাটি মুক্তির লক্ষ্য। আর মেজবাউর রহমান সুমনের সিনেমাটির কাজ শুরু হতে পারে চলতি বছরেই।