ভারতের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
বার্ধক্যজনিত সমস্যার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান এ নির্মাতা।
কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে তরুণের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ১৪ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন তরুণ মজুমদার। তার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞদের ৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়।
এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে তরুণ মজুমদারের চিকিৎসা চলছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সিসিইউতে প্রাথমিকভাবে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়।
সিসিইউতে আবার অবস্থার অবনতি হলে রোববার তরুণকে ভেন্টিলেশনে দেয়া হয়। সোমবার সকালে ভেন্টিলেশনেই মৃত্যু হয় এ নির্মাতার।
তরুণ মজুমদারের মৃত্যুর সঙ্গে শেষ হলো বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের বর্ণাঢ্য অধ্যায়ের।
ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পেয়েছিলেন এ পরিচালক। তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সাতবার বিএফজিএ পুরস্কার ও পাঁচবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান।
১৯৫৯ সালে উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত জনপ্রিয় ‘চাওয়া-পাওয়া’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন তরুণ মজুমদার।
তার পরিচালনায় তুমুল জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পলাতক’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘গণদেবতা’, ‘স্মৃতিটুকু থাক’, ‘সংসার সীমান্তে’, ‘বালিকা বধূ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’।