বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেমস বন্ডের থেকে আলাদা স্বাদের মাসুদ রানা: আসিফ আকবর

  •    
  • ২ জুলাই, ২০২২ ১৭:১৪

‘আমি এতটুকু বলতে পারি, এমআর-নাইন জেমস বন্ড সিরিজের যেকোনো সিনেমার চেয়ে আলাদা এবং বিশ্ব দর্শকদের কাছে নতুন রূপে উপস্থাপিত হবে।’

দেশের তুমুল জনপ্রিয় স্পাই থ্রিলার উপন্যাস ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ‘ধ্বংসপাহাড়’ থেকে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হওয়া সিনেমাটির নাম রাখা হয়েছে এমআর-নাইন। এটি পরিচালনা করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলিউডের পরিচালক আসিফ আকবর।

আমেরিকার লাস ভেগাসে সিনেমার কিছু শুটিং শেষে আসিফ আকবরসহ তার টিম এসেছিল বাংলাদেশে। করেছেন কিছু অংশের শুটিং। ফিরে যেতে যেতে পরিচালক নিউজবাংলার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

পরিচালকের সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হন। প্রশ্ন পাঠানোর পর তিনি প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন। সে সময় তিনি আমেরিকার যাত্রাপথে ছিলেন।

মাসুদ রানা চরিত্রে অভিনয় করা এ বি এম সুমন ও সহশিল্পীর সঙ্গে আসিফ আকবর। ছবি: নির্মাতার পক্ষ থেকে

নিউজবাংলা: এমআর-নাইন একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প। আপনি কি মাসুদ রানা চরিত্রটিকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চেয়েছেন নাকি জাতীয় স্পাই চরিত্রেই চিত্রিত করতে চেয়েছেন?

আসিফ আকবর: আমি ছোটবেলা থেকেই মাসুদ রানা চরিত্রের সঙ্গে পরিচিত, বলতে পারেন, আমি বড় হয়েছি এ চরিত্রটির সঙ্গে। অনেক দশক ধরে লাখ লাখ বাঙালি যেমন চরিত্রটিকে ধারণ করছে, আমিও করে আসছি। মাসুদ রানা চরিত্রটি বাংলাদেশের এবং দেশটির মানুষের কাছে খুবই আইকনিক।

আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে মূল মাসুদ রানা বইয়ের ওপর ভিত্তি করে এই আইকনিক চরিত্রটি এবং গল্পটিকে বড় পর্দায় আনার সুযোগ পেয়েছি। আমি এটা অনুভব করেছি যে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা এবং হলিউড সিনেমার মাধ্যমে বিশ্ব দর্শকের কাছে বাংলাদেশি স্পাই অ্যাকশন হিরোকে উপস্থাপন করা আমার জন্য একটি বড় দায়িত্ব।

১৯৬৪ সাল থেকে মাসুদ রানা সিরিজের বইগুলো বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের বিশ্বের অনেক স্থান এবং সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা দিয়েছে, কারণ তখন ইন্টারনেট বা ওই ধরনের কোনো কনটেন্ট ছিল না।

অনেক বছর ধরে যে সিরিজটি বাংলাদেশে এত জনপ্রিয়, সেটি আমি বিশ্ববাসীকে দেখাতে চেয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশকেও তুলে ধরতে চেয়েছি তাদের সামনে।

তাই বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে সিনেমাটিকে জীবন্ত করে তোলার জন্য আমাকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। আশা করছি, আমি শেষ পর্যন্ত আমার উদ্দেশ্য পূরণ করতে সক্ষম হব। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে দর্শকরাই।

শুটিং সেটে আসিফ আকবর ও তার টিমের একাংশ। ছবি: নির্মাতার পক্ষ থেকে

নিউজবাংলা: অনেকেই এমন ভয় করছেন যে মাসুদ রানা আবার জেমস বন্ডের মতো না হয়ে যায়। যারা ভয় পাচ্ছেন, তাদের জন্য কী বলবেন?

আসিফ আকবর: আমি এতটুকু বলতে পারি, এমআর-নাইন জেমস বন্ড সিরিজের যেকোনো সিনেমার চেয়ে আলাদা এবং বিশ্ব দর্শকদের কাছে নতুন রূপে উপস্থাপিত হবে।

মাসুদ রানার অবশ্যই নিজস্ব ভাষা থাকবে। লোকেরা এটিকে জেমস বন্ডের সঙ্গে তুলনা করতে পছন্দ করে। কারণ জেমস বন্ড বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত স্পাই এবং মাসুদ রানা বাংলাদেশের গুপ্তচর। দুজনের পেশায় মিল রয়েছে। তাছাড়া মাসুদ রানা সিরিজের কিছু বইয়ে বন্ড সিরিজের অনুপ্রেরণা ছিল, যা-ই হোক, সেটা নিয়ে আমি বলতে চাই না।

আমি বিশ্বাস করি, এমআর-নাইন সিনেমায় আরও অনেক গুণ ও ভিন্নতা থাকবে, যা দুটি চরিত্রকে আলাদা করবে এবং মাসুদ রানাকে বিশ্বের কাছে তার নিজস্ব পরিচয়ে পরিচিত করবে।

শুটিং সেটে আসিফ আকবর ও তার টিমের একাংশ। ছবি: নির্মাতার পক্ষ থেকে

নিউজবাংলা: আমরা যতটুকু শুনেছি, লাস ভেগাসে সিনেমাটির কিছু শুটিং হয়েছে; সম্প্রতি বাংলাদেশেও হলো। শুটিং কি পুরো শেষ হয়েছে? স্কেজিউলটা কেমন?

আসিফ আকবর: লাস ভেগাস এবং বাংলাদেশ ছাড়াও সিনেমার শুটিং আরও অনেক জায়গায় হয়েছে। আমি দর্শকদের একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করব। আমরা অদ্ভুত সব লোকেশনে দৃশ্যধারণ করেছি। আমি সত্যিই সৌভাগ্যবান যে দর্শকদের জন্য আমি সেই সব অসাধারণ লোকেশন তুলে আনতে পেরেছি।

শুটিং এখনও চলছে এবং সিনেমাটি ভালো করে নির্মাণ করার জন্য যত্নের পাশাপাশি সময় নিতে চাই।

শুটিং সেটে আসিফ আকবর ও তার টিমের একাংশ। ছবি: নির্মাতার পক্ষ থেকে

নিউজবাংলা: মাসুদ রানা সিনেমায় শুটিং, চিত্রনাট্য তৈরি, চরিত্র নির্মাণের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কোন কাজটিকে মনে হয়েছে?

আসিফ আকবর: অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু কাস্টিং ছিল আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমার কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে কোন চরিত্রের জন্য কোন শিল্পীকে নেয়া হচ্ছে। আমার মনে হয় আমরা সেটায় সফল হয়েছি।

সিনেমায় অনেক নতুন চরিত্রের পরিচয় পাওয়া যাবে, যা মূল বইতে নেই। আমরা এর জন্য চিত্রনাট্যের লাইসেন্স নিয়েছি এবং আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী করেছি, আন্তর্জাতিক অভিনয়শিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। পরিকল্পনা, চিত্রনাট্য এবং তারকাদের ব্যস্ত সময়সূচি মেলানোর জন্য বেশ কিছু সময় লেগেছে আমাদের।

মজার বিষয় হলো, সিনেমাটি করার জন্য আমরা নিজেরা নিজেদের সময় দিয়েছি। আমরা জানি সিনেমাটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ও প্রত্যাশার কথা। আমরা অনেক সময় ধরে প্রি-প্রডাকশনসহ অন্যান্য কাজ করার পর শেষ পর্যন্ত কাজের শেষদিকে চলে আসতে পেরেছি, খুব ভালো লাগছে।

শুটিং সেটে আসিফ আকবর ও তার টিমের একাংশ। ছবি: নির্মাতার পক্ষ থেকে

নিউজবাংলা: বাংলাদেশে এবং বিশ্বব্যাপী কবে সিনেমাটি মুক্তি পেলে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে মনে করেন।

আসিফ আকবর: আমি বিশ্বাস করি, সিনেমাটি ২০২৩ সালের কোনো এক সময় মুক্তি পাবে। তবে এটি শেষ পর্যন্ত নির্ভর করে ডিস্ট্রিবিউটরদের ওপর। সিনেমাটি অবশ্যই বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে।

এ বিভাগের আরো খবর