ঢাকাই চলচ্চিত্রের তিন তারকা ওমর সানী-মৌসুমী ও জায়েদ খান ইস্যুতে সরগরম চারদিক। সানী-মৌসুমীর সংসার ভাঙতে চাইছেন জায়েদ খান, এমন অভিযোগ ওমর সানীর। তবে তা উড়িয়ে দিয়েছেন জায়েদ খান।
অন্যদিকে ওমর সানীর তোলা অভিযোগ ঠিক নয় জানিয়ে এক অডিও বার্তা দিয়ে জায়েদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মৌসুমী।
ত্রিভুজ সংকটের মধ্যে এই তিন তারকার সবশেষ অভিনীত চলচ্চিত্র ‘সোনার চর’-এর খোঁজখবর নিয়েছে নিউজবাংলা। জানা গেছে, ছবির শুটিং প্রায় শেষ, কিছু অংশের সম্পাদনাও এগিয়ে রেখেছেন পরিচালক।
বাস্তব জীবনে জায়েদকে নিজেদের দাম্পত্য জীবনে ‘অনাহূত আগন্তুক’ দাবি করছেন সানী। সোনার চর সিনেমায়ও সানী-মৌসুমীর সংসারে অপরিচিত একজন হিসেবে আবির্ভাব ঘটে জায়েদের। তবে জায়েদের উপস্থিতিতে টালমাটাল হয়নি সেই সংসার।
পরিচালক জাহিদ হোসেন দাবি করছেন, চলমান বিতর্কের মতো করে সিনেমার গল্পে জায়েদকে মোটেই দেখা যাবে না। সেখানে সানী-মৌসুমীর সংসারে ‘কালো ছায়া’ ফেলার দায়েও অভিযুক্ত নন জায়েদ খান।
গল্পের খানিকটা জানিয়ে জাহিদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এর কাহিনি ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ের। এখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী, আর তার স্বামীর চরিত্রে ওমর সানী। সানীর চরিত্রটি কথা বলতে পারেন না, লাঠিয়ালের ভূমিকায় রয়েছেন। এখানে জায়েদ একজন মুক্তিযোদ্ধা, যিনি আবার ফেরারি আসামি।’
সোনার চর সিনেমার শুটিংয়ে মৌসুমী-জায়েদ খান ও সহশিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীতসিনেমায় মৌসুমীর সঙ্গে জায়েদ খানের সম্পর্কের বর্ণনা দিয়ে পরিচালক বলেন, ‘এতে তাদের সম্পর্কের কোনো নাম দেয়ার সুযোগ নেই। কারণ সোনার চর-এ জায়েদ একজন আগন্তুক। সিনেমায় সে ফেরারি আসামি। এই চরে মাঝেমধ্যে আসেন তিনি। তাদের (মৌসুমী-জায়েদ) একসঙ্গে তেমন বেশি সিকোয়েন্স নেই, তিন-চারটি হবে।’
সোনার চর সিনেমার শুটিংয়ে মৌসুমী। ছবি: সংগৃহীতগত বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হয় সিনেমাটির শুটিং। দুটি গান আর মৌসুমীর একটি সিকোয়েন্স ছাড়া সব শুটিং শেষ বলে জানালেন নির্মাতা।
চলমান সংকট নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না পরিচালক। তিনি বলেন, ‘তাদের এসব ঝামেলা আমার সিনেমায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমার তো কাজ শেষ। আর যেটুকু বাকি আছে তা যেকোনো সময়ই করে ফেলতে পারব। জায়েদ খানের মামলার ঝামেলা না থাকলে এতদিন হয়ে যেত।’
সোনার চর সিনেমার শুটিংয়ে সহঅভিনেত্রীর সঙ্গে ওমর সানী। ছবি: সংগৃহীতসিনেমাটি কবে নাগাদ মুক্তি পেতে পারে সে ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা নেই পরিচালকের। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনই বলা যাচ্ছে না, পুরোটাই নির্ভর করছে প্রযোজকের ওপর।’
জাহাঙ্গীর সিকদার প্রযোজিত এই সিনেমাটির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ জাহিদ হোসেনের।