আমেরিকান অভিনেত্রী ও সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের নামে করা মানহানির মামলার রায়ে জয়ী হওয়ার পর জনপ্রিয় অভিনেতা জনি ডেপ বলেছেন, মৃত্যু নেই সত্যের।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় সময় বুধবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখিত বক্তব্যের দুটি ছবি দেন তিনি।
কাজের প্রয়োজনে যুক্তরাজ্যে আছেন জনি ডেপ। লিখিত বক্তব্যের শেষে তাই স্বাক্ষর ও তারিখের পাশে ইউকে লেখা ছিল।
জনি লেখেন, ‘ছয় বছর আগে আমার, আমার সন্তানদের জীবন, আমার সবচেয়ে কাছের মানুষদের জীবন এবং সেই সঙ্গে বহু বছর ধরে যারা আমাকে সমর্থন দেয়ার পাশাপাশি বিশ্বাস করেছেন, তাদের জীবন চিরতরে পাল্টে গিয়েছিল। এ সবই হয়েছে চোখের পলকে। সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, অত্যন্ত গুরুতর ও অপরাধমূলক অভিযোগ করা হয়েছিল। যদিও আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
‘খবরটি এক ন্যানো সেকেন্ডের মধ্যে দুবার বিশ্ব ভ্রমণ করে ফেলেছে এবং এটি আমার ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবনের ওপর ভূমিকম্পের মতো প্রভাব ফেলেছে। ছয় বছর পর বিচারক আমাকে আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি সত্যিকার অর্থে শ্রদ্ধাবনত।’
মামলার বিষয়ে ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’ অভিনেতা বলেন, ‘আমার আইনি প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি ছিল অনিবার্য। তাই মামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘প্রথম থেকেই এই মামলার ফলের চেয়ে সত্য প্রকাশ করাটা ছিল জরুরি। সত্য কথা বলা এমন একটা ব্যাপার, যার জন্য আমি সন্তান এবং আমার সমর্থনে অবিচল থাকা মানুষদের কাছে ঋণী। আমি অবশেষে এটি করতে পেরেছি জেনে শান্তি পাচ্ছি।’
ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আলোচিত অভিনেতা লেখেন, ‘বিশ্বজুড়ে আমার জন্য ভালোবাসার ঢেউ এবং বিপুল সমর্থন দেখে আমি অভিভূত। আমি আশা করি যে, সত্য বলার জন্য আমার এ ঘটনা সেসব পুরুষ বা নারীদের সাহায্য করবে, যারা আমার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছেন। যাদের আত্মপক্ষ সমর্থন আছে, তারা কখনও হাল ছেড়ে দেয় না। আমি আরও আশা করি যে, আদালত এবং সংবাদমাধ্যম উভয় ক্ষেত্রেই দোষী প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে।’
আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘বিচারক, আদালতের কর্মীরা যথেষ্ট করেছেন। এই রায়ে পৌঁছানোর জন্য তাদের সময় ব্যয় করেছেন এবং আমার পরিশ্রমী এবং অটল আইনি দলকে ধন্যবাদ, যারা আমাকে সবার কাছে তুলে ধরতে অসাধারণ কাজ করেছে।
‘সেরাটি এখনও আসেনি এবং অবশেষে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। সত্যের মৃত্যু নেই।’